নবীনগর থেকে চুরি যাওয়া মাইক্রোবাস চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার। ৩ জন আটক
ডেস্ক ২৪ :সোমবার ও মঙ্গলবার পৃথক অভিযানে চোরাই মাইক্রোবাসটি জব্ধ ও এতে জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে চট্টগ্রামস্থ গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। আটককৃতরা হলো-সালাউদ্দিন ড্রাইভার (৩৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে হিরু ড্রাইভার (২৮) ও দুলাল হোসেন ড্রাইভার (৩০)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মাইক্রোবাসটি চুরি করে এনে কক্সবাজার পরিবহন শ্রমিক নেতার কাছে বিক্রি করে ওই সিন্ডিকেট।
সূত্র জানায়, দুলাল ড্রাইভার ও হাবিব মোটর সাইকেল এনে দেওয়ার কথা বলে সালাহ উদ্দিন ড্রাইভারের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা অগ্রিম নেয়। পরে সালাহ উদ্দিন মোটর সাইকেল চাইলে সময় ক্ষাপন করে। এক পর্যায়ে ১৫ ডিসেম্বর গাড়ি দেওয়ার কথা বলে সালাহ উদ্দিন ও তার বন্ধু তারেকুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবী নগরে নিয়া যায়। সেখানে তাদেরকে মোটর সাইকেল না দিয়ে চোরাই মাইক্রোবাসটি তুলে দেয় দুলাল ও হাবিব। তারা গাড়িটি এনে কক্সবাজার ট্রাক-মিনিট্রাক-পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আ.লীগ নেতা ফজলুল করিম সাঈদীর কাছে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পেরে সোমবার নগরীর বায়েজীদ বোস্তামী থানা এলাকা থেকে সালাহ উদ্দিন, তারেকুল ইসলাম ওরফে হিরু ড্রাইভারকে গ্রেফতার করে।
পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে মঙ্গলবার ভোর রাতে চকরিয়ার ফজলুল করিম সাঈদীর বাড়ি থেকে মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিন দুলাল ড্রাইভারকেও গ্রেফতার করা হয়।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা জানান, চুরি হওয়া মাইক্রোবাসটির মালিক হুমায়ুন কবির গত ১৫ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবী নগর থানায় এ বিষয় নিয়ে মামলা করে। নবী নগর থানা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম থেকে তিনজন গাড়ি চোর ও শ্রমিকনেতা সাঈদীর বাড়ি থেকে মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, গাড়ি উদ্ধারের সময় ফজলুল করিম সাঈদী বাড়িতে না থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।