নবীনগর উপজেলা মুক্ত দিবস পালিত
প্রতিনিধি : আজ ১৪ ডিসেম্বরে নবীনগর উপজেলার মুক্ত দিবস আজ। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশের যে কয়টি স্থান বিশেষ ভাবে উলেখযোগ্য নবীনগর উপজেলা তার অন্যতম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলায় টানা ৬ দিন যুদ্ধের পর ১৪ ডিসেম্বর পাকসেনাদের কবল থেকে নবীনগর সদরকে মুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা।
৬ ডিসেম্বর উপজেলার মহল্লা গ্রামে নবীনগর সদরকে মুক্ত করার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল অগ্রসর হয়ে কড়ইবাড়ী গ্রামে এসে পৌঁছায়। ৮ ডিসেম্বর এই দলটি ইব্রাহিমপুর গ্রামে অগ্রসর হয়ে পাকসেনা কবলিত নবীনগর সদরকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আক্রমণের নীল নকশা প্রনয়ণ করে। ৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা নবীনগর সদরের দক্ষিণের মাঝিকাড়া গ্রাম থেকে এবং সদরের উত্তর দিক থেকে পৃথকভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের দুইটি দল মরণপন আক্রমণ চালায়। ১০ ডিসেম্বর শত্রু সেনারা মাঝিকাড়া গ্রামের সকল কাঠের দোকানসহ কয়েকটি বাড়িঘর পুঁড়িয়ে দেয়। ১৩ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিকটবর্তী হরণগ্রাম থেকে নবীনগর পাকসেনাদের অবস্থানের উপর কামানের গোলা নিক্ষেপ করলে নবীনগর মাছ বাজারসহ কয়েকটি সরকারি অফিসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওইদিন মাঝিকাড়া গ্রামে যুদ্ধরত কনিকাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুছ সালাম শহীদ হন। ১৪ ডিসেম্বর নবীনগর হাই স্কুলসহ পুরো নবীনগরকে পাকিস্তানীদের কাছ থেকে মিত্রবাহিনীরা শত্রুমুক্ত করে। এই কারণে ১৪ ডিসেম্বর নবীনগর উপজেলা মুক্ত দিবস।১৯৭১ এর সেই রক্তঝরা দিনগুলোতে ধাপে ধাপে হানাদার মুক্ত হয়েছিল নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল।
এমন অসুস্থ রাজনীতির ধারা থেকে বেরিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করা উচিৎ বলে মনেকরেন স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।