Main Menu

নবীনগরে হুমায়ুন কবীরকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত

+100%-

প্রতিনিধি॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের নাটঘর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জিলুর রহমান, তার অনুসারী জজ মিয়া, আবদুর রশিদ হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামী হুমায়ুন কবীরকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর স্থাসবি/ইপ/সাবঅ-১৯,২০১৩(অংশ-১১/৮০১) স্মারকে স্বারিত এক চিঠিতে তাকে বরখাস্তের কথা জানানো হয়। সেখানে উলেখ করা হয়, নাটঘর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর এর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গৃহীত হওয়ায় তাকে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও জনস্বার্থে সমীচিন নয়। সেই কারনে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীরকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪(১) মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদ ও জনস্বার্থে  সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এর আগে নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল জলিল, ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য জাহের মিয়া, সংরতি এলাকার সদস্য বেগমেন্নেসা সহ এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক বরাবর তাকে বরখাস্তের আবেদন জানায়। এরপর জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম. নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর এ বছর ৪ আগস্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক নুর মোহাম্মদ মজুমদার ১২ আগস্ট চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবীরকে সাময়িক বরখাস্তের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার সচিবের নিকট আবেদন জানায়।
উলেখ্য, ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর নবীনগরের নাটঘর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জিলুর রহমান বর্তমান চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ও তার দলের হামলায় নৃশংসভাবে খুন হয়। এরপর ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে খুন হয় জিলুর চেয়ারম্যানের আতœীয় জজ মিয়া, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জিলু চেয়ারম্যানের অনুসারী আবদুর রশিদ। এ তিনটি হত্যা মামলাতেই হুমায়ুন চেয়ারম্যান প্রধান আসামী।






Shares