Main Menu

‘হ্যালো ! আপনি পঞ্চাশ হাজার টাকা জিতেছেন…!!!

+100%-

 

প্রতিবেদক ঃ ‘আপনি পঞ্চাশ হাজার টাকা জিতেছেন। এর জন্য আপনাকে বিকাশের একটি নম্বরে ষোল হাজার টাকা পাঠাতে হবে’।  শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গ্রামীণ ফোনের একটি নম্বর থেকে প্রতারক চক্রের এক সদস্য পঞ্চাশ হাজার টাকা জেতার কথা বলে এভাবেই ফোন করে হতভাগ্য আলমগীরের মুঠোফোনে। আর  প্রতারক চক্রের অর্থের প্রলোভনে সাড়া দিতে গিয়ে অপমানিত হয়ে শেষ পর্যন্ত জীবন দিল বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত  যুবক আলমগীর। শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত সলিমগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবক আলমগীর হোসেন (২২) নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার তালতলা গ্রামের আহমদ আলীর পুত্র। সে বেসরকারি সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান ঠেংগামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) এর ফিল্ড অর্গানাইজার।

এলাকাবাসী জানায়, ফোনে এ খবর জানার পর আলমগীর তাদের জানায়, তার কাছে মাত্র এক হাজার টাকা আছে। তখন প্রতারক তাকে বলে, আপনি একটি বিকাশ নম্বর দেন। আমরা আপনার নম্বরে পনের হাজার টাকা পাঠাচ্ছি। পরে পঞ্চাশ হাজার পেয়ে পরিশোধ করে দিবেন। প্রতারক চক্রটির এমন কথায় সাড়া দিয়ে আলমগীর সলিমগঞ্জ বাজারের বিকাশ এজেন্ট শ্যামল মোবাইল সার্ভিসিং-এর নম্বরটি তাদেরকে দেন। তারা ওই নম্বরে বিকাশ টাকা গ্রহণের একটি ভূয়া বার্তা (মেসেজ) পাঠায়। আলমগীর দুপুর একটার দিকে ওই বার্তাটি বিকাশ এজেন্ট মালিক শ্যামল মিয়াকে দেখানো মাত্রই সে আলমগীরকে আটক করে মারধর শুরু করে। পরে আলমগীরকে ছাড়িয়ে নিতে টিএমএসএস’র স্থানীয় ব্যবস্থাপককে খবর দেওয়া হয়।

শ্যামল জানান, তিনি সম্প্রতি এসব প্রতারকের কবলে পড়ে ৪৪ হাজার টাকা খুইয়েছেন। এজন্য তিনি আলমগীরকে ওই চক্রের সদস্য বলে সন্দেহ করছেন। পরে বিকেল তিনটার দিকে ব্যবস্থাপক এসে আলমগীরকে ছাড়িয়ে নিয়ে বাসায় পাঠান।

সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম জানান, আলমগীরের ঘরের দরজা সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ থাকায় এলাকাবাসির সন্দেহ হয়। তাড়া ডাকাডাকি করে সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে দেখতে পান আলমগীরের লাশ বাঁশের তীরের সঙ্গে ঝুলছে। সৌর বিদ্যুতের মোটা একটি তার গলায় পেঁচিয়ে সে ফাঁসিতে ঝুলে। ঘরে আলমগীরের লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা রয়েছে- ‘এই অপমান সইতে না পেরে আমি আত্মহত্যা করেছি। এর জন্য কেউ দায়ি নয়’।
এসআই মাহবুব আরও জানান, রাতেই ওই ঘর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।






Shares