বিবাদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কয়েকটি খুনের পরেও শান্তি ফিরেনি নবীনগরের থানাকান্দি গ্রামে
নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রায় দেড় শতাধিক ঘর-বাড়িতে তান্ডব চালানোর পাশাপাশি ১০ জন আহত হয়। নির্বাচনোত্তর এ সংঘর্ষে কাউছার মোল্লাসহ জড়িত উভয় পক্ষের ২০জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়ছে গ্রামটি। নিজের সহায় সম্বল হারানোর ভয়ে আতংকে আছেন গ্রামবাসী। এলাকার হাট-বাজারে নেই তেমন কোনো মানুষের উপস্থিতি।
প্রায় তিন যুগের বেশী সময় ধরে দুই প্রভাবশালী আবু মেম্বার ও মোসলেম মেম্বারের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এলাকার যে কোন ইস্যুতে ওই দুই গ্রুপ দুই পক্ষে অবস্থান নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান জিল্লো রহমান ও কাউছার মোল্লা নেতৃত্ব দেয় । বিভিন্ন সময় নানা ইস্যুতে সংঘঠিত সংঘর্ষে ৪টি খুন ও ২৫টি পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে নবীনগর থানায়। সদ্যসমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবার এক নতুন মাত্রা যোগ হয়। পান থেকে চুন খসলেই ভাঙচুর আর লুটপাটের ঘটনায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামের নিরীহ মানুষ।
এদিকে গ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে যা প্রয়োজন সেভাবেই কাজ করার কথা জানান নবীনগর থানা পুলিশ।
এই দুঃসহ জীবন যাপন থেকে মুক্তি পেতে এই এলাকার দুই দলের রাঘব বোয়ালদের উপযুক্ত শাস্তির বিধান করে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জরুরী ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।