Main Menu

পরিচালনা পরিষদের প্রার্থী হতে মেয়েকে দুই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করলেন বাবা

+100%-

ovijogনবীনগর প্রতিনিধি- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ওয়ারুক গ্রামের আব্দুল মমিন মিয়ার মেয়ে আছিয়া বেগম শিবপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় নবম শ্রেণীর ছাত্রী হিসেবে প্রথম সাময়ীকি পরীক্ষা দিচ্ছে একই সাথে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেলীতে ভর্তি রয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ও চরম উওেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, আগামী ১৯ মে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য আব্দুল মমিন মিয়া তার মেয়ে আছিয়া বেগমকে শিবপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে গত ২৮জানুয়ারী ৭ম শ্রেণীর পরিত্যাগপত্র নিয়ে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি করিয়েছেন তার রোল নং ১৩৮।এ ঘটনা জানাজানি হলে অপর প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে চরম উওেজনা সহ এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।13237855_862130790559920_8460972429663696976_n

মাদরাসার রের্কড থেকে জানাযায়, ওই ছাত্রী শিবপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ২০১৫ সালে জেডেসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে কৃতকার্য হয়ে ২০১৬ সালে নবম শ্রেণীতে ওই মাদরাসায় ভর্তি হয় তার রোলনম্বর ৯। মাদরাসার দৈনিক হাজিরা খাতায় রয়েছে তার নিয়মিত উপস্থিতি। ২০১২ সালে ইবতেদায়ী সমাপনী পরিক্ষার সনদপত্রে আছিয়ার জন্ম তারিখ ০৫/০২/২০০১ সাল, মাদরাসার পরিত্যাগ পত্রে ও স্কুলের ভর্তির ফর্মে ১০/৪/২০০৪ সাল জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে। গত রবিবার ১৫ মে মাদরাসার প্রথম সাময়ীকি পরীক্ষায় সে অংশ গ্রহন করে । দুই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়টি জানাজানি হলে ৪০ মিনিট পরীক্ষা দেওয়ার পর তার পিতা13226638_862130867226579_3467322863208550875_n তাকে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের করে নিয়ে যায়। আছিয়ার মা জানান, তার মেয়ে স্কুলেই ভর্তি আছেন, মাদরাসায় নেই। তিনি আরো জানান, গত কয়েক দিন আগে তার মেয়ে ঢাকায় চলে গেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল আজ যে আছিয়াকে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে আপনার স্বামী নিয়ে এসেছে সে কোন আছিয়া? এই প্রশ্নের উওর না দিয়ে তিনি হাসতে হাসতে কেটে পরেন। মাদরাসার হল সুপার ও আছিয়ার সহপাঠিরা জানান, আজ রবিবার ১৫ মে আছিয়া আমাদের সাথে প্রায় ৪০ মিনিট পরীক্ষা দেওয়ার পর তার পিতা মমিন মিয়া তাকে হল থেকে বের করে নিয়ে যায়।
শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসাইন কবির বলেন, আমি পরিত্যাগ পত্র সহ প্রয়োজনীয় কাগজ পেয়ে তাকে ভর্তি করেছি। শিবপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা প্রধান সুপার হামিদুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, একজন শিক্ষার্থী সপ্তম শ্রেণীতে চলে গিয়ে কি করে নবম শ্রেণীতে পরীক্ষা দিতে পারে। জবাবে সুপার বলেন, কোন অবস্থাতেই পারেনা। তবে পরিত্যাগ পত্রের স্বাক্ষরটি আমার কিনা সন্দেহ আছে।

13173292_862130717226594_4305242245628832566_oশিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক অলিউর রহমান ভুইয়া বলেন,আগামী ১৯ মে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনে জালিয়াতির মাধ্যমে মমিন মিয়া প্রার্থী হয়েছে, ভোটার তালিকায়ও রয়েছে অসংঙ্গতি একজনের নামে দুইবার ভোট উঠেছে। সে কারনে মমিন মিয়ার প্রার্থীতা বাতিল ও ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবী জানাচ্ছি।

এ দিকে তথ্য গোপন করে অবৈধ ভাবে প্রার্থী হওয়া মমিন মিয়ার প্রার্থীতা বাতিল ও ভোটার তালিকা সংশোধন চেয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করেছেন গোলাম রব্বানী নামে অপর এক প্রার্থী।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি,একজন শিক্ষার্থী কোন অবস্থাতেই দুই প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারেনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ভোটার তালিকা সংশোধন করতে প্রয়োজনে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে এডহক কমিটি করার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তাকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।






Shares