Main Menu

নবীনগর মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ নবীনগর প্রতিনিধিঃ  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের বেশ কিছু অঞ্চল নদীভাংগন এলাকা। ওই ইউনিয়নের মানিকনগর,সাহেবনগর নয়াপাড়া,শ্রীঘর,নাসিরাবাদ গ্রাম সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম মেঘনা নদীপাড়ে অবস্থিত। প্রায় প্রতিবছরই নদী ভাংগনের ফলে ওইসব গ্রামের বেশকিছু ফসলী জমি সহ বসতবাড়িঘর মেঘনানদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। ওইসব অঞ্চলের মানুষগুলো মেঘনার রাহুগ্রাসের সাথে যুদ্ধ করে কোনরকম টিকে আছে। অনেকেই নদীগর্ভে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে আছে। ওই অরক্ষিত অঞ্চলটি এখন বালু উত্তোলনকারি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের রাহুগ্রাসের শিকার হয়েছে।

উপজেলার মধ্যস্থল দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে পার্শ্ববর্তী গ্রাম ও ফসলি জমি। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড় ভেংগে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় বাড়িঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে জীবন যাপন করছে কয়েকটি পরিবার। উপজেলার নাসিরাবাদ মহল থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা থাকলেও নিয়ম-নীতির উপেক্ষা করে এলাকার মানুষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব । ওই এলারকার প্রভাবশালী আতিক মেম্বারের নেতৃত্বে ক্ষমতাশীন দলের দাপটে সাহেবনগর নদীর ঘাট থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ইজারার চুক্তি লঙ্গন করে সীমানার বাইরে গিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে পুরো অঞ্চলটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয় নিরীহ বাসিন্দারা আতংকিত যে এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে নবীনগর উপজেলার মানচিত্র থেকে হয়তবা একদিন ঐতিহ্যবাহী শ্যামগ্রাম ইউনিয়নসহ পুরোঅঞ্চলটি হারিয়ে যাবে। বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য তাদের বহুবার জানানো হয়েছে কিন্তু পেশিশক্তির দাপট দেখিয়ে বারবার নিষেধ অমান্য করে বালু উত্তোলন করছে বলে জানান শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমির হোসেন বাবুল। এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জে পি দেওয়ান, বলেন যদি কেউ নিয়ম নীতি ভঙ্গ করে বালু উত্তোলন করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।






Shares