নবীনগরে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে পাল্টে গেলো বিদ্যালয়ের সভাপতি




গতকাল মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শকের স্বাক্ষরকৃত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি পদে আসিন হন নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক।
তবে এর দুদিন আগে গত (০৪ এপ্রিল) রবিবার একই কর্মকর্তার আরেক বিজ্ঞপ্তিতে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিককে সভাপতি করা হয়েছিল। ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে এড-হক কমিটি’র সভাপতি পাল্টে যাওয়া নিয়ে নবীনগরের সর্বমহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের একজন বিদ্যালয় পরিদর্শকের স্বাক্ষরযুক্ত ওই চিঠিতে নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. একরামুল ছিদ্দিক কে বিদ্যালয়টির সভাপতি মনোনয়নসহ মোট চারজনকে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বোর্ড কর্তৃক সভাপতি মনোনয়নের পাশাপাশি পদাধিকার বলে বিদ্যালয়টির সদস্য সচিব মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের সম্প্রতি লাঞ্ছিত হওয়া প্রধান শিক্ষক আল আমীন খান ও চার সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে রয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনীত শিক্ষক প্রতিনিধি শাহীন আরা বেগম, অভিবাবক প্রতিনিধি রাশিদা ছিদ্দিক। তবে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে সভাপতি পদটি বদলে যাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় লাউর ফতেহপুর আর এন টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড উল্লেখিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে স্মারকের ইস্যু তারিখ থেকে পরবর্তি ৬ মাসের জন্য সভাপতির মনোনয়ন সহ এড-হক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন সাদেক কে বিদ্যালয়টির এড-হক কমিটিতে ‘সভাপতি’ নির্বাচিত করার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় এমপি এবাদুল করিম বুলবুল গত ফেব্রুয়ারি মাসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একটি ‘ডিও’ লেটার দেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমপি’র ডিওকে উপেক্ষা করে কমিটির নাম জমা দিতে দেরী করায়, গত ১৬ মার্চ উপজেলা পরিষদ গেটে দিনে-দুপুরে প্রধান শিক্ষক আল আমীন খানকে লাঞ্ছিত করেন ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক।
পরে গত (২০ মার্চ) বর্তমান সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল ও সাবেক সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদল সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এক সালিশি সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক ও প্রধান শিক্ষক আল আমীন খানকে ‘করমর্দন’ করিয়ে ঘটনাটির নিষ্পত্তি করা হয়।
« নাসিরনগরে পুকুরের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ:: ৫ পুলিশসহ আহত ১৬, আটক ১১ (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) সরাইলে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে যুবক খুন »