নবীনগরে সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে এক নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় পায়ের রগ কেটে হত্যার চেষ্টা
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনি ধিঃ- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক অসহায় নারীর সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে এক নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বিবস্ত্র করে তার পায়ের রগ কেটে ও স্পর্শকাতর স্থানে রক্তাক্ত জখম করে হত্যার চেষ্ঠা চালায়। এই নৃশংস বর্বর হামলার শিকার শিবপুর কলেজ পাড়ার মলাই মিয়ার মেয়ে মোছাঃ নাছিমা আক্তারকে মুমূর্ষ অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কতব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করেন। নাছিমা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় শিবপুর ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মোছা মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১৬জন নামীয় ও অজ্ঞাতসহ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
বুধবার (০৬/৯)বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একটি অনুষ্ঠানে শিবপুর গেলে সেখানে নাছিমার মা হোছনেআরা বেগম নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ অভিযোগ করে ন্যায় বিচারের দাবী জানান। নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামিম তাদেরকে অবশ্যই আইনী প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশ্বস্থ করেন।
গত ৩১ আগষ্ঠ সন্ধ্যায় শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পূর্ব পাশে মাটির ও রাস্তার উপরে এই নৃশংস হামলার ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,মলাই মিয়া তার স্ত্রী ও ৬ মেয়ে নিয়ে শিবপুর কলেজ পাড়ায় নীজ বসতবাড়িতে বসবাস করে আসছে। তিনি ও তার স্ত্রী বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় শয্যাশায়।একটি জমি ক্রয়/বিক্রয় নিয়ে এই পরিবারের সাথে মোছা মিয়ার সামাজিক বিরোধ চলে আসছে। শিবপুর ইউনিয়ন সদরে নাছিমাদের ১১ শতক একটি জায়গা রয়েছে। ওই জায়গা বিক্রী করার জন্য মোছা নাছিমাকে প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাবে সম্মত্তি না দেওয়ায় তার উপর সশস্ত্র দলবল নিয়ে এ হামলার হামলা চালানো হয়।
আহত নাছিমা জানায়,মোছা এলাকায় অহসায় এতিমদের জমি জবরদখল,সন্ত্রাসবাদ ও নানাহ অপকর্মেও সাথে জড়িত এ গুলোর প্রতিবাদ করায় তার সাথে আমার সামাজিক বিরোধ। তার কাছে জমি বিক্রীর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে প্রকাশ্যে ঘোষনা দেয় যে কোন মূল্যে আমার এই সম্পত্তি সে দখল করবে। সেই পূর্ব পরিকল্পনায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয়। নাছিমা বলেন,আমাকে মারার ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের সময় পড়ে থাকা আমার মোবাইল ফোনাটি শিবপুর ফাড়ি পুলিশ নিয়ে যায়। সেই মোবাইলে মোছা সকল অপকর্মের ভিডিও অডিও রেকড ও গুরুত্বপূর্ন তথ্য রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত অভিযোগ এফআইআর হয়নি আসামীদের ধরার কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
অভিযুক্ত মো:মোছা মিয়া বলেন, আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে ফাঁসাতে এ মামলার আসামী করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শীবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আর মুজিব বলেন, আমি চাই এ ঘটনায় যাতে কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন সাজা না পায় ,সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হউক।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম এর সাথে গতকাল বৃহসপতিবার কথা বললে তিনি জানান অভিযোগ যাথারীতি এফআইআর করা হয়েছে,আইনী প্রক্রিয়ায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন হবে।
« সরাইলে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে পত্রিকার সংবর্ধনা (পূর্বের সংবাদ)