নবীনগরে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঙ্গন::ভোটারদের উপহার সামগ্রী দিয়ে প্রভাবিত করা হচ্ছে
নবীনগর প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনে অভিভাবক প্রতিনিধি সদস্য পদে পদপ্রার্থী মোজাহারুল হক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের হাতে উপহার সামগ্রী দিয়ে ভোটারদের প্রাভাবিত করা অভিযোগ উঠে। গতকাল শুক্রবার(২৬/০৪)বিকেলে নির্বাচন রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন নির্বাচনে ৪ প্রতিদ্ধন্ধী প্রার্থী আবদুস সালাম, মোঃ কামাল মিয়া, বিল্লাল শেখ, গোলাম মোস্তফা ছালাম।
সুত্র জানায়, আগামী ৫ মে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।উক্ত নির্বাচনে এলাকার বির্তকৃত প্রভাবশালী ব্যাক্তি মোজাহারুল হক সরকার পথে ঘাটে হাট বাজারে তার প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের সমর্থক,কর্মী ও ভোটারদেরকে গালমন্দ হুমকি দামকিসহ নানাহ্ ভয়ভীতি প্রর্দশন করে আসছে। ভোটারদের প্রভাবিত করতে তাদের সন্তান স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের হাতে“ছাতা” উপহার সামগ্রী বিতরণ করছেন। কিন্তু এ সব অভিযোগের সত্যতা মিললেও রির্টানিং অফিসার শুধু সর্তক করেই ছেড়ে দেওয়ায় অন্যান্য প্রার্থীরা হতাশ হয়েছেন এবং সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে ।
এ বিষয়ে ভয়ে আতংকিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক ভোটার বলেন, জোর করে উপহার দেওয়া হচ্ছে, না নিলে গালমন্দ করবে,বাদ্য হয়ে নিতে হচ্ছে। ভয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীরাও মিডিয়ার সামনে কথা বলতে চাচ্ছে না । অভিযোগকারি প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী শাস্তির দাবী জানান।
ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী বলেন,বিষয়টি আমি শুনছি,কিন্তু আমার স্কুল ক্যাম্পাসে ছাতা বিতরণ হয়নি,বাহিরে বা বাড়িতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রার্থী মোজাহারুল হক সরকারকে তার মোবাইলে বার বার চেষ্ঠা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বলেন, অভিযোগ পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত প্রার্থীকে ডেকে প্রথমবারের মত সর্তক করে দিয়েছি,দ্বিতীয়বার এ ধরনের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।