Main Menu

নবীনগরে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের শত-শত গ্রাহকদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: করোনার মহামারির মধ্য দেশের ব্যবসায়ীক পরিস্থিতিতে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষ সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছে। এ দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আওতাধীন শতশত গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার কারনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পূর্বে কোন প্রকার নোটিশ প্রদান বা সাধারণ জিজ্ঞেসা করারও প্রয়োজন মনে করছেন না তারা।
স্থানীয় ভোক্তভোগীরা ধার-দেনা করে বকেয়া বিল পরিষদ করলেও নতুন করে আবার মিটার চার্জ,জামানত সহ বিভিন্নফির টাকা চাপিয়ে দেওয়া হয় গ্রাহকদের। সে সব চার্জ পরিষদ না হলে পুনরায় বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়না গ্রাহকদের।

ভোক্তভোগীদের মধ্যে নবীনগর সদর বাজারের কাঠ মেস্তুরী দিনেশ সূত্রধর,ব্যবসায়ী ফকরুল মিয়া,আলী আজম মিয়া,কাউছার আলম শিবু,কালন মিয়া,বশির মিয় সহ আরো অনেকেই জানান, করোনার মধ্যে ব্যবসা করে সংসারই চালাইতে কষ্ট হয় এই পরিস্থিতে দোকন ভাড়া-কারেন্টের বিল নিয়মিত পরিষদ করা অনেক কষ্টের। বর্তমানে আমরা প্রতি মাসেই বিদুৎ বিল পরিষদ করছি,কিন্তু দু এক মাসের বকেয়া ছিলো মাত্র,সেটা আমাদের বললেই দিয়ে দিতাম। পল্লি বিদ্যুতের লোকজন আমাদের এ বিষয়ে অবগত না করেই খুব সকালে এসে আমাদের দোকানের বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়ে গেছে। এখন বিল পরিশোধ করার পর বলে সংযোগ পেতে হলে ওয়ান পয়েন্ট,মিটারের জামানত সহ নানান ফি দিতে হবে।

এ বিষয়ে নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ম্যানেজার মনোয়ার শিকদার জানান, আমরা লাইন কাটার পূর্বে এলাকায় মাইকিং করিয়ে গ্রাহকদের অবগত করেছি।তাছাড়া বিদ্যুৎ বিলের নিচেই লেখাই থাকে নিন্ম তারিখের মধ্যে বিল পরিশোধিত না হইলে কোনরূপ পূর্ব নোটিশ ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারবো।সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে কিছু মাশুলও দিতে হবে। মহামারি করোনার কথা বললে তিনি জানান, দেশ করোনার প্রভাব কাটিয়ে উছেছে,জনসাধারণের এখন কোন অর্থিক সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামন মনির জানান, একজন গ্রাহককে না বলে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাটা দুঃখজনক। আমি এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের সাথে কথা বলবো।






Shares