Main Menu

নবীনগরে উপজেলা নির্বাচনোত্তর সংঘর্ষ অগ্নিসংযোগ,বাড়িঘর ভাংচুর- গ্রেফতার-২০

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ নবীণগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে বিবাদমান দুই গ্রæপের মধ্যে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানোর বাড়িতে হামলা করে তাকে অবরুদ্ধ করে তাঁর বাড়িঘর ভাংচুর করার ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহিমুল ইসলাম কবিরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে।এছাড়াও গ্রামটির এক উভয়পক্ষের প্রায় দেড় শতাধিক বাড়িঘরে ভাংচুর,লুটতরাজসহ বসত ঘড়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এলাকা স‚ত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনোত্তর এ সংঘর্ষে সরাসরি জড়িত রয়েছেনর্ কাউছার মোল্লা ও বর্তমান চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার(০২/০৪) পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে মামলা করে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। ওই গ্রামে প্রায় তিন যুগের বেশী সময় ধরে দুই প্রভাবশালী আবু মেম্বার ও মোসলেম মেম্বারের মধ্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এলাকার যে কোন ইস্যুতে ওই দুই গ্রæপ দুই পক্ষে অবস্থান নিয়ে নেতৃত্ব দেয়। সামান্য ও ছোটখাট বিষয় নিয়ে দাংগা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মেতে উঠে তারা। এ এলাকায় বিভিন্ন সময় নানা ইস্যুতে সংঘঠিত সংঘর্ষে ৪ খুন ও ২৫টি পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।সদ্যসমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে এতে। কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম গৌরনগর, হাজীর হাটি, সাতঘর হাটি ও থানাকান্দি এই চারটি গ্রামে গত ৩৫ বছর যাবত এ খুন খারাপী চলে আসছে। ওই দুই গ্রæপই এ চারটি গ্রামকে নিয়ন্ত্রন করে।
৩১ মার্চ সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী দুই প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেয় দুটি গ্রæপ। বর্তমান ওই দুই গ্রæপের আবু মেম্বার গ্রæপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এলাকার বর্তমান চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান তিনি আওয়ামীলীগের বিদ্রেæাহী প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান মনির (দোয়াত কলম) পক্ষে অপরদিকে মোসলেম মেম্বার গ্রæপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কাউছার মোল্লা, তিনি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী জহির উদ্দি সিদ্দিক টিটু(নৌকা) পক্ষে অবস্থান নেয়।
নির্বাচনের দিন ভোটারা ভোট দিতে উত্তর লক্ষীপুর সর:প্রা: বিদ্যালয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে নৌকার সমর্থক কাউছার মোল্লার লোকজনদের সাথে আবু মেম্বার লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। তারই রেশ ধরে দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনোজিত রায় বলেন,ওই অ লে দাংগা হাঙ্গামা দীর্ঘদিনের যে কোন ইস্যুতেই তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমান পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।






Shares