নবীনগরে আ’লীগ,বিএনপি ও স্বতন্ত্র ত্রিমূখী লড়াই



নবীনগর প্রতিনিধি:: ভোটের দিন যতই এগুচ্ছে নির্বাচনী মাঠ ততই গরম হয়ে উঠছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩১ মার্চ উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৫৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে বাতিল প্রত্যাহার শেষে ৫২জন চেয়ারম্যান প্রার্থী,সাধারন সদস্য পদে ২৯৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮৬ জন প্রতিন্ধন্দিতা করছেন।
এই প্রথম দলীয় প্রতিকে নির্বাচন হওয়ায় মূলত আ’লীগ ও বিএনপি মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দীতা হবে তবে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ন অঞ্চলে ত্রিমূখী লড়ায়ে দলীয় প্রার্থীরা ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ দুই বড় দলের মাঝে ছোটখাট দলগুলো যেমন জাসদ ও জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোট তাদের প্রার্থীতা দিয়ে দল ও দলের প্রতিককে জনগনের সামনে তুলা ধরার সুযোগ পেল এবং ভবিষ্যৎ সুযোগের পথ সুগম করা প্রচেষ্ঠায় তারা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তবে বলা যায় না ইব্রাহিমপুর ও লাউরফতেহপুর ইউনিয়নে বড় দুই দলের মারামারি মধ্য দিয়ে ওই ছোট দলের প্রার্থীরাও বাজিমাত করে ফেলা অসম্বব কিছু নয়।
সরেজমিন উপজেলার পূর্বাঞ্চলের কইতলা(দঃ)ও বিটঘর সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে জানা গেছে, সেখানে ত্রিমুখী লড়াই হবে। কে হতে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান এ প্রশ্নের উত্তরে মুখ খুলতে চাইছে না ওই অঞ্চলের ভোটারটা, তবে তাদের কাছে দল বড় নয়, তারা সৎ যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দিবেন। প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কিছু হামলা সংঘর্ষের কারনে প্রার্থীরা একে অপরের প্রতি হামলা হুমকি দামকি ইত্যাদি পাল্টা পাল্টি অভিযোগ করে আসছে প্রশাসনের কাছে। বিএনপি ও সতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কাইতলা (দঃ) আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতিকে মো: শওকত আলি, বি এন পি থেকে ধানের শীষ প্রতিকে আ:মান্নান, সতন্ত্র চশমা প্রতিকে অ্যাডভোকেট ছৈয়দ মো. খালেদ আশিষ। বিটঘর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতিকে আবুল হোসেন, বি এন পি থেকে ধানের শীষ প্রতিকে মো. এনামুল করিম কাজল, সতন্ত্র থেকে তালা প্রতিকে মো. সুলতান আহম্মদ ভূইয়া। তারা প্রত্যেকেই জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন বলেন, নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে নিজেকে জনসেবায় সম্পৃক্ত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মান, বিভিন্ন অবকাঠামো সংস্কার নির্মান, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত মডেল ইউনিয়ন গড়ে তুলবো।
নবীনগর পূর্ব থেকে মো: শামীম রেজা (নৌকা), মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন(ধানের শীষ), আল-আমীন(লাঙ্গন),মৗসুমী আক্তার(আনারস), বীরগাঁও থেকে জহির রায়হান (নৌকা), মো. ফালু (ধানের শীষ), মোবারক হোসেন খান (লাঙ্গন), সতন্ত্র কবির আহম্মদ( ঘোড়া),কবির হোসেন(আনারস), আনোয়ারুল কাদির(ঘোড়া), নাটঘর থেকে আবুল কাশেম ( নৌকা), মো: হুমায়ুন কবির(ধানের শীষ), আবুল কাশেম(লাঙ্গল),সতন্ত্র মো.নোয়াব আলী( আনারস), লাউরফতেহপুর থেকে ফারুক আহম্মদ (নৌকা), মো: জহিরুল হক (ধানের শীষ), মো. আবুল কালাম(লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন থেকে মো.মনির হোসেন (হাতপাখা), সতন্ত্র সৈকত আলী (আনারস), শ্রীরামপুর থেকে, আজাহার হোসেন সরকার জামাল(নৌকা), আবু আনিছ খন্দকার(ধানের শীষ), শিপন মিয়া(লাঙ্গল), মো.আমীর হোসেন(মশাল), সতন্ত্র ফেরদৌস আহম্মদ(মটরসাইকেল),ফাইজুর রহমান জালাল(আনারস), মো. এনু মিয়া (টেলিফোন), মো. মোজাহারুল হক সরকার(ঘোড়া), সাতমোড়া থেকে মাসুদ রানা(নৌকা), মো: শাহাাজাহান(ধানের শীষ), মো. হারুন অর রশিদ( লাঙ্গল), সতন্ত্র মো. সিরাজুল ইসলাম( আনারস), মো: মিন্টু মিয়া(টেলিফোন)। রসুল্লাবাদ থেকে মোঃ আলী আকবর(নৌকা), এম আবুল হোসেন(ধানের শীষ), মো. হক মিয়া( লাঙ্গন), সতন্ত্র হাবিবুর রহমান(আনারস), বিদ্যাকুট থেকে মো. এনামুল হক (নৌকা), মো. আলতাফ হোসেন(ধানের শীষ),সতন্ত্র আবদুল হান্নান(আনারস), ও ইব্রাহিমপুর থেকে আবু মোছা (নৌকা), মো. নোমান চৌধুরী(ধানের শীষ) মো. শেখ শাদী (লাঙ্গল), এম জসিম উদ্দিন (মশাল), সতন্ত্র নূরুল হক চৌধুরী(আনারস)। এদের মধ্যে নবীনগর পূর্ব, শ্রীরামর্পু, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নে ত্রিমূখী লড়াই হবে। প্রার্থীদের বিরামহীন প্রচার প্রচারনায় ইউনিয়নগুলোতে যেন সার্বজনিন উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।