Main Menu

নবীনগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

+100%-

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুই গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাজেবিশাড়া গ্রামের স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ফকরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের বাজেবিশাড়া ও দুবাচাইল গ্রামের আবুল হোসেন ও রতনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রুহুল আমিন দুইটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে। দুটি গ্রুপের মধ্যে মামলা-হামলা ও লুটপাটের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। বুধবার সন্ধ্যায় দুবাচাইল গ্রামের সীমান্তবর্তী মুরাদনগর উপজেলার পিপিড়িয়াকান্দি বাজারে আবুলের সাথে রুহুল আমিন চেয়ারম্যানের সমর্থক আরজু মিয়ার বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুই গ্রুপের লোকজন টেটা, বল্লম, তীর, ককটেল, দেশিয় পাইবগানসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুবাচাইল দক্ষিণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও দেশীয় বন্দুকের ছড়া গুলি ও তীরের আঘাতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয় এবং একটি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন, সেলিম রেজা, নাইম, আলাল মিয়া, শিপন। রাজিব, আলী আজ্জম, রাসেল, মোশারফ, ফজলু মিয়া, ওয়াসিম, মো. অপু, লিটন মিয়া, ফারুক আহমেদ, সুজন মিয়া, কাদির মিয়া, সফিক, শরিফসহ আরো অনেকে। তাদের মধ্যে নাইমের শরীরে গুলি ও বুকে তীরের আঘাত লাগে, তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কুমিল্লা থেকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে। সেলিম মিয়ার দুটি পা পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আহতদের কুমিল্লাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।






Shares