Main Menu

নবীনগরে আত্মহত্যার নেপথ্যে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার প্ররোচনার অভিযোগ!

+100%-

নবীনগর  প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লহরি গ্রামে পিতার মৃত্যুর বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করায়, আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলেকেও প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে পিতৃহীন ওই অসহায় ছেলে এবার নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নবীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন।
সরজমিনে গিয়ে মামলার এজাহার ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের লহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে ওই বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন জরাজীর্ণ ভবন অপসারণরে জন্য সম্প্রতি সরকারিভাবে নিলাম ডাকে উপজেলা শিক্ষা অফিস। নিলামে ওই বিদ্যালয়েরই পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সুমন আহমেদের ভাই মনির হোসেন ভবনটি অপসারণের জন্য কার্যাদেশ পায়।
কিন্তু অভিযোগ পাওয়া যায়, ওই নিলামে কেবল বিদ্যালয়ের পুরাতন ও জরাজীর্ণ ভবনটির নিলাম ডাকা হলেও, বিদ্যালয়ের সভাপতি সুমন আহমেদ জালিয়াতির মাধ্যমে ভবনের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের ছয়টি মূল্যবান গাছ কাটারও কার্যাদেশ পায় বলে এলাকাবাসিকে জানায়।
এলাকাবাসি জানান, এরপর লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ওই ছয়টি গাছ গ্রামের আবদুল জব্বারে কাছে নগদ ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রী করে দেয় সুমন। কিন্তু পরে গাছগুলো কাটতে না পেরে জব্বার তার দেয়া পুরো টাকা সুমনের কাছে ফেরত চান। কিন্তু টাকা ফেরত না দেওয়ায় জব্বার গত ৬ ফেব্রুয়ারি আত্মহত্যা করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সামাদ জালিয়াতির বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে, ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম বিদ্যালয়ের সভাপতি সুমন আহমেদকে নগদ ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এদিকে জব্বারের ছেলে আক্তার হোসেন বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৪/০২/১৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে সুমন আহমেদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাদী আক্তার হোসেন বলেন,‘ধারদেনা করে আনা ৬৫ হাজার টাকা ফেরত চাইতে গেলে স্কুলের সভাপতি বাবার সঙ্গে প্রচন্ড দুর্বব্যহার করে বাবাকে ‘আত্মহত্যা’ করতে প্ররোচনা দেন। তাই মামলা করেছি। এখন মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমাকে প্রাণনাশের হুমকী দেয়ায় থানায় জিডিও করেছি।’
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সুমন আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘এসব সাজানো নাটক। আমার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র। একটি মহল এসব অপপ্রচার করছে।’
তাহলে ২ লাখ টাকা জরিমানা দিলেন কেন? এ প্রশ্নের জবাবে নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা দাবি করে তিনি বলেন‘একটি মহল আমার ইমেজকে নষ্ট করতে প্রশাসন দিয়ে আমাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করিয়েছে। আমি জরিমানার টাকা দিয়ে দিয়েছি। এ নিয়ে আর কোন ঝামেলা নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম বলেন,‘আত্মহত্যার ঘটনা আমার জানা নেই। তবে গাছ কাটা নিয়ে জ্বালিয়াতির সত্যতা পাওয়ায় বিদ্যালয়ের সভাপতিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছি।’
নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদ গতকাল সোমবার বলেন,‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।






Shares