নবীনগরে আওয়ামীলীগ নেত্রী স্বপ্না হত্যা: অবশেষে আ.লীগ নেতা আনোয়ার আটক
নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের আওয়ামীলীগ নেত্রী স্বপ্না আক্তার হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যতম সন্দেহভাজন আ.লীগ নেতা আনোয়ার হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে আনোয়ারকে আটক করার পর গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে নবীনগর থানায় নিয়ে আসা হয়। তাকে আটকের বিষয়টি শুক্রবার সকালে নিশ্চিত কাছেন নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদার ও মামলার তদন্তকারি অফিসার এস আই সুখেন্দ্র বসু।
জানা যায়, নবীনগর উপজেলা আ.লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক স্বপ্না আক্তার খুন হওয়ার দু-দিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগরের স্থানীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলের ঢাকার বনানী অফিসে আনোয়ারের সঙ্গে আ.লীগ নেত্রী স্বপ্নার চরম বাকবিতন্ডা হয়। আ.লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। এ ঘটনার আগে নবীনগরের জিনদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন আনোয়ার। স্বপ্নার সমর্থন ছিলো আরেকজনের প্রতি। সেখান থেকেই স্বপ্নার সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। ঢাকার ওই ঘটনার পর বাড়িতে ফিরে স্বপ্না উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এর দু-দিন পরই খুন হন স্বপ্না।
স্বপ্না হত্যা মামলার বাদী আমীর হোসেন জানান ঘটনার ২ দিন আগে ঢাকায় ১৫/২০ জনের সামনেই আনোয়ার আমার বোনকে হুমকি দিয়ে বলে ছিল রাজনীতি করলে করার মতোই করুম, আর না অইলে তরে দেইক্কা দিমু। ঘটনার দিন আনোয়ার হোসেন এলাকায় এসেছিলো বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক স্বপ্না আক্তারকে গুলি করে হত্যা করা হয় গত ২২ শে নভেম্বর রাতে। ঘটনার রাতে ৯ টার দিকে সাতমোড়া ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলন থেকে ফিরে জিনদপুর বাসষ্ট্যান্ড নেমে বাঙ্গরা বাজারে যাওয়ার পথে দৃর্বৃত্তরা খুন করে তাকে। ওই রাতেই স্বপ্না আক্তারের ছোট ভাই আমীর হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে যাদের সঙ্গে আ.লীগ নেত্রী স্বপ্নার ব্যাক্তিগত ও রাজনৈতিক বিরোধ আছে এমন ৬/৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিলো।