নবীনগরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি উত্তোলন
মিঠু সূত্রধর পলাশ নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজলার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে ফসলি জমির মাটি উত্তোলন করতে দেখা যাচ্ছে। এতে করে ফসলি জমি নষ্ট সহ পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজলার নতুন শ্রীরামপুর ইউনিয়নের বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো.মুসলেম উদ্দিন তার বাড়ির পাশের একাটি ফসলি জমিতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে প্রায় ৩০-৪০ ফিট গভীর করে মাটি উত্তলন করে আরেকটি ফসলি জমি ভরাট করছে। ড্রেজিংয়ের ফলে পাশে থাকা ফসলি জমিগুলিও নষ্ট হচ্ছে। ফসলি জমির শ্রেণী পরিবর্তনের অনুমদন না করেই এমন করে এলাকার বিভিন্ন স্থানে চলছে এমন অসংখ্য খনন কাজ। উক্ত বিষয়ে মো. মুসলেম উদ্দিন কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আমার জমি আমি খনন ও ভরাট করছি এ নিয়ে আমি কাকে কি জিজ্ঞেস করব। পাশ্ববর্তী ফসলি জমির মালিক হান্নান মিয়া ও কিবরিয়া আক্ষেপ করে বলেন,আমার জমি নষ্ট হইতাছে এইডা আমি কারে কমু,কাডা আমার কথা শুনব।
এছাড়াও রছুৃল্লাবাদ,কালঘড়া,দাল্লা,গোপালপুর গ্রাম গুলির পাশ্ববর্তী ফসলি মাঠে অসংখ্য মাটি কাটার ড্রেজার দেখা যায়। উপজলার রছুল্লাবাদ গ্রামের ড্রেজার মালিক বাছির মিয়া জানান,আমাদের কতা থানা-পুলিশ সবাই জানে। ড্রেজার আজকা চালাই না,গত চার বছর ধইরা চালাই। হুদা আমি একলা ড্রেজার চালাই না,এলাকার অনেকেই চালায়।
এসময় তার দেওয়া তথ্য মতে, উপজেলার যশাতুয়া গ্রামের ছাদির মিয়া ও ইব্রাহিমপুর গ্রামের সাদেক মিয়া নাম বলেন সে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম বলেন, ড্রেজিং করে ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি উত্তলনের বিষয়টি সম্পুর্ণ অবৈধ। এ বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রুনায়েদ আমিন রেজা জানান, ফসলি জমির উপর ড্রেজিংয়ের বিষয়টি সম্পুন্ন অবৈধ। ফসলি জমি খননের ছাড়পত্র আমরা দেইনা।