নবীনগরের মেঘনা নদী ভাঙ্গনের রোধ প্রকল্পের কাজের ধীরগতি, ক্ষুব্দ এমপি এবাদুল করিম বুলবুল



মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি, নূরজাহানপুর, সোনাবালুয়া ও ধরাভাঙা এলাকার নদীভাঙন এলাকায় ভাঙনরোধ কল্পে চলামান কাজের পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সাংসদ মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল। সময়মত কাজ না করায় ঠিকাদারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
শুক্রবার ২১ মে সোনাবালুয়া নদী ভাঙনপাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড-এর নদী ভাঙনরোধ কল্পে চলামান কাজের পরিদর্শন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ ক্ষোভ করেন তিনি। তিনি সভায় উপস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ৭০ কোটি টাকার প্রকল্পের চার ভাগের একভাগও কাজ হয়নি। উক্ত ঠিকাদারের সাথে সকল চুক্তি বাতিল করে দ্রুত নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে চলমান কাজ সমাপ্তের তাগিদ দেন। বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ হারুতের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহম্মদ, জনশক্তি ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা মো. সাইফুল রহমান সোহেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, ইউপি আ’লীগ সভাপতি লুৎফুর রহমান লাল মিয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গত ২০২০ সালে মার্চ মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কাজটি পান এম. জাহের কনস্ট্রাকশন ফার্ম। সিডিউল মোতাবেক ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্প কাজটি শেষ করার নির্দিষ্ট সময় ছিল।