নবীনগরবাসীর কাঙ্খিত সার্জেন্ট মুজিবুর রহমান সেতু, উদ্বোধনের আগেই সুফল পাচ্ছে লাখো মানুষ
অবশেষে চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর উপর নির্মিত সার্জেন্ট মুজিবুর রহমান সেতু। উদ্বোধন না হলেও এস আকৃতির সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেয়ায় জেলার নবীনগর উপজেলার সাথে জেলা শহরের দূরুত্ব কমেছে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত সূচনা হয়েছে। আর্থ-সামাজিক ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি র্দীঘ দিনের দূভোর্গ থেকে মুক্তি পেয়েছে নবীনগরবাসী।
মেঘনা ও তিতাস বেষ্টিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা। এ উপজেলার থেকে জেলা সদরসহ দেশের নানা স্থানে আসতে হলে নৌ-পথে অথবা কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জ দিয়ে ৬০ কিলোমিটার সড়ক পথ ব্যবহার করে আসতে হতো। এতে সময়ও লাগতো অনেক বেশি। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে নৌ-পথে আসতে গিয়ে দূযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই নৌ-দূর্ঘটনার শিকার হতে হতো। নবীনগর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলের প্রচেষ্টায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উদ্যোগে সাড়ে ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৭৫ কিলোমিটার সেতুটি ২০১৬ সালের জানুয়ারী নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতুটির নির্মাণ কাজ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। নির্মান কাজ শেষে সেতুটি চালু হওয়ায় এখন জেলার নবীনগর ও বাঞ্চারামপুর উপজেলার অন্তত দুই লক্ষাধিক জনসাধারন ১৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে খুব সহজেই জেলা সদর আসতে পারছে। তবে সেতুটি চালু হলেও ১৮ কিলোমিটার সড়কের কিছু স্থান এখনো বেহাল অবস্থা। দ্রুত সড়কটির সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, উদ্বোধন না হলেও জনসাধারনের সুবিধার জন্য সেতুটি খুলে দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত প্রধানমন্ত্রী সেতুটি উদ্বোধন করবেন বলে জানান তিনি ।
এস আকৃতির দৃষ্টিনন্দিত সেতুটি চালু হওয়া সেতুটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে আসছে লোকজন। ১৮ কিলোমিটার সড়কটির সংস্কার দ্রুত শেষ হলে সেতুটির প্রকৃত সুফল পাবে এলাকাবাসী এমনটায় মনে করছেন উপজেলাবাসী।