নবীনগরবাসি আজও ভুলেনি ভয়াবহ লঞ্চ দূর্ঘটনার কথা
এখনও লঞ্চ ও স্পীডবোট যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত!
মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর থেকে: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মেঘনা ও তিতাস নদীতে নবীনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ভৈরব ও নরসিংদী নৌরুটে সুনিদির্ষ্ট নিয়ম কানুন না মেনে এখনও ঝুঁকিপূর্ণ লঞ্চ ও স্পিডবোট নির্বিঘেœ চালানো হচ্ছে। এসব লঞ্চ ও বোট মালিকরা সারেং-সুকানি নাম মাত্র রাখলেও লঞ্চ চালায় অদক্ষ অনভিজ্ঞ হেলপার দিয়ে। ফলে প্রায়ই দূর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় নৌরুটের যাত্রীদের।
এ নৌ রুটে ২০০০ সালের ০১ মে একই দিনে স্মরণ কালের দুটি বড় ভয়াবহ লঞ্চডুবির কথা আজও মানুষ ভূলেনি। দেড় শতাধিক যাত্রীর মর্মান্তিক প্রাণ হানির ১৮ বছর পরও নৌরুটে চলাচলরত লঞ্চ মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নাড়েনি। বরং বৃদ্ধাঙ্গুগুলি দেখিয়ে লঞ্চ ও স্পিটবোট আইনের সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চলাচল অনুপযোগী ফিটনেছ বিহীন বেশ কিছু লঞ্চ ও বোট অবাধে চলাচল করছে। এছাড়াও এসব ঝুঁকিপূর্ণ লঞ্চ অভিজ্ঞ ও দক্ষ সারেং-সুকানী ছাড়াই প্রতিনিয়ত চলাচল করছে বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনটি নৌরুটে ছোট বড় দশ-বারোটি লঞ্চ ও শতাধিক স্পিবোড চলাচল করে। কিন্তু ‘বি,আই ডব্লিউটি এ’ এর নির্দেশে কাগজের সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতির সঙ্গে কোন মিল নেই। অনেক লঞ্চে পরিমিত বয়া থাকা প্রয়োজন তাও নেই। এ ছাড়া বালতি,পানি সেচের জন্য টিউবওয়েল ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতি পর্যাপ্ত রাখা হয় না ।
এলাকার সচেতন মহল ও যাত্রীরা এ প্রতিনিধিকে বলেন, “সংশ্লিষ্ট মহলেকে ম্যানেজ করে বছরের পর বছর এ নৌ রুটে নানা অনিয়ম চলছে। যাত্রীদের সেবার নামে হয়রানি করছে এসব লঞ্চ ও স্পিটবোট মালিকরা। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় প্রশাসনকে নানাভাবে অবগত করানো হলেও তেমন কোনো লাভ হয় না।
তাই বর্ষামৌসুম শুরু হওয়ার আগেই এ সব অনিয়ম দূর করে নৌরুটের যাত্রীদের জীবন রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্ধতন কতৃপক্ষের আশু সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, গত ২২/০৪ রবিবার দুপুরে মেঘনা নদীতে নরসিংদী হতে বেপরোয়া স্প্রীডবোটে নবীনগরের সলিমগঞ্জ আসার পথে শ্রীনগর নামক স্থানে দিকভ্রন্ত হয়ে বিপরীতমুখী আরেকটি বোটের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে মহিউদ্দিন আহমেদ মহি (২৯) নামে এক যুবক তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার করা হয় তার লাশ।