আজ পহেলা মে নবীনগর উপজেলাবাসীর জন্য এক বিভিষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনি
এটাই ছিল নবীনগরের ইতিহাসে প্রাকৃতিক দূর্যোগে সর্ব বৃহৎ প্রাণহানির ঘটনা । ওই ঘুর্নিঝড়ে পুরো নবীনগরে অগনিত গবাদি পশু সহ প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ড ভন্ড হয়ে যায়। সেদিন ঝড় শুরু হবার আগ মুহুর্তে যাত্রীদের বারন সত্বেও নরসিংদী-নবীনগর গামী এম, ভি,বেঙ্গলবার্ড মানিকনগর লঞ্ছঘাট হতে ছেড়ে যাবার পর শান্তিপুর গ্রামের পাশের মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। অপরদিকে ভৈরব গামী এম,ভি ডলফিন নামক লঞ্ছ টি ডুবে লালপুর নামক স্থানে।
নবীনগর বাসীর অভিযোগ রয়েছে স্মরনকালের ভয়াবহতম দূর্ঘটনার পরেও এই নৌ রুটে ঝুঁকিপূর্ণ ফিটনেস বিহীন লঞ্ছ ও সময়এর ব্যাবধানে যাত্রী পাড়াপারে যোগ হওয়া স্প্রীডবোট চলাচল বন্ধ হয়নি এখনো।
স্বজন হারানোর বোবাকান্নায় আর আর্তনাদে আজো ভারী হয়ে ওঠে নবীনগর উপজেলার আকাশ-বাতাস।অথচ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার কোন সুযোগ সুবিধা এখনো এই নৌ-রুটের লঞ্চগুলিতে নেই! এখন বর্ষাকাল, চার দিকে বইছে প্রচন্ড কাল বৈশাখী ঝড়, ফলে লঞ্চ ও স্প্রীডবোট ডুবির আশংকা প্রকট। সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটার আশংকায় নবীনগরবাসী আতংকিত।
জনসাধারাণের দাবী, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ সব ফিটনেসবিহীন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন উপকরণহীন লঞ্ছ ও স্প্রীডবোট গুলোকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নিয়ম শৃংখলার মধ্যে এনে যাত্রীদের জীবনমাল রক্ষার পদক্ষেপ গ্রহন করবে ।