৯ আগষ্ট বুধবার কাজী আকবর উদ্দিন সিদ্দিক এম.পি ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী॥
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ৯ আগষ্ট (বুধবার) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আকবর উদ্দিন সিদ্দিকি এম.পি এর ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘণিষ্ট সহচর, মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসন হতে ১৯৭০ সালে গনপরিষদ সদস্য, ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য ও ১৯৮৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সংগঠক নবীনগরের মাটি ও মানুষের কিংবন্তী নেতা কাজী আকবর উদ্দিন সিদ্দিকি এম.পি এর ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী ৯ই আগষ্ট।
এ উপলক্ষে ১১ই আগষ্ট শুক্রবার যথাযোগ্য মর্যদায় পালন করা হবে তার মৃত্যু বার্ষীকি। ২০০৪ সালে সকাল ৮.১৫ মিনিটের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে এর ২১৪ নং কেবিনে পায় ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সু-দীর্ঘকাল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সংগঠক ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতের আগরতলা হাপানিয়া তিতাস ক্যাম্পের প্রধান ছিলেন এবং দিল্লী চকরিয়া বিহার এর দেরাদুন থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তৎকালীন সরকার মেজর জেনারেল উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের সময়কালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুক্তিযুদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতার পর পুনরায় ১৯৭৩ সালে এমপি নির্বাচিত হয়ে নবীনগর কলেজটি বর্তমান স্থানে প্রতিষ্ঠা করেন, কাইতলা কলেজ, নবীনগর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও নবীনগর ইচ্ছাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ নবীনগরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা ও সংস্কার করেন এবং এ সকল প্রতিষ্ঠানের সভাপতিও তিনিই ছিলেন। নবীনগরে তিনিই প্রথম বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করেন, তিতাস নদী খনন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, নবীনগর গ্রন্থভবনের জমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতা ও নবীনগর উপজেলায় ১৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করন করেন। শিক্ষক সমিতির মিলনায়তন ভবন সহ অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। নবীনগর-কোম্পানিগঞ্জ সড়ক ইট সলিং ও মহেশ রোডের মাটি ভরাটের ব্যবস্থা করেন।
১৯৭৫ সালে পটপরিবর্তনের পর স্বৈরাচার জিয়াউর ও স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের সময় গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মন্ত্রী ও এমপি লুভনীয় প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করে তিনি বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নীতি-আর্দশ প্রতিষ্ঠার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন। তিনি নীতি আর্দশ ও সততার প্রতীক হিসাবে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নবীনগরের মাটি ও মানুষের কিংবদন্তী নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি আর্দশ ও কর্মসূচী বাস্তবায়নে অবিচল ছিলেন। মরহুমের ১৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আগামী ১১ই আগষ্ট শুক্রবার সিদ্দিক এমপি ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচীর মধ্যে মরহুমের নিজ গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শ্রীরামপুর গ্রামে মরহুমের কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পন, কবর জিয়ারত, কোরআন কতম, বাদ জুম্মা বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদসহ নবীনগর উপজেলা সদরে বিভিন্ন মসজিদ ও শ্রীরামপুরের সকল সমজিদে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এবং ৯ই আগষ্ট বুধবার বিকেলে নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে নবীনগর আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত করা হবে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। সিদ্দিক এমপি ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এর উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক কাজী জহির উদ্দিন টিটো উক্ত অনুষ্ঠানে সমূহে সকল আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি হয়ে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও দোয়ায় শরিক হওয়ার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।