চেয়ারম্যান গ্রুপের গুপ্ত হামলায় আহত-২ গ্রেপ্তার -১৩
নবীনগর উপজেলার পাঁচগ্রামে আবার উত্তপ্ত



নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপির থানাকান্দিসহ পাঁচগ্রামে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে আবারও উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার বাইশ মৌজা বাজারের ইজারা তোলা কে কেন্দ্র করে বিকালে থানাকান্দি পশ্চিম পাড়ায় কৃষ্ণনগর ইউপির চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান গ্রুপের গুপ্ত হামলায় কাউসার মোল্লার গ্রুপের শাহিনুর (৩৮) ও কপিল উদ্দিন (৫৫) গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপতালে প্রেরন করেন।
এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এঘটনায় উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে বুধবার সকালে আদালতে প্রেরন করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাউসার মোল্লার গ্রুপ নৌকার সমর্থন করায় প্রায় দুই মাস পূর্বে ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান গ্রুপের সাথে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই সময় কাউসার মোল্লাসহ ১৯ জনকে আটক করে আদালতে সৌপর্দ করে। কাউসার মোল্লা হাজতে থাকায় জিল্লু চেয়ারম্যানের লোকজন এলাকায় বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট সহ মহিলাদের হুমকি ধামকি এবং গুপ্ত হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। বর্তমানে মহিলা ও স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
পুলিশ গুপ্ত হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করা হয়। এলাকায় পুলিশ মোতায়ন রয়েছে,গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।