নবীনগরে বিকল্প সড়ক নির্মান না করেই সেতু ভেঙ্গে ফেললেন ঠিকাদার, ১০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি চরমে
মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: বিকল্প সড়ক নির্মান না করেই জনগুরুত্বপুর্ণ সেতু ভেঙ্গে ফেললেন ঠিকাদার। এতে করে ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হোচ্ছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার আলমনগর উত্তর সড়কের সেতুটি পুণনির্মাণের জন্য এলজিআরডি মন্ত্রনালয়ের অধিনে দরপত্র আহবান করা হয় । যেখানে সেতুটির ব্যায়ভার ধরা হয় ৪ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। সেতুটি নির্মানের কাজ পায় ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস্ লোকমান এন্টারপ্রাইজ।
সূত্রে জানা যায়, গত দু মাস আগে সেতুটির নির্মানের দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর ঠিকাদার লোকমান হোসেন জনসাধারণের চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক নির্মান না করেই সেতুটি ভেঙ্গে ফেলেন। এলাকাবাসির বাধার মুখে সেতুটি ভাঙ্গার সময় বলা হয় এই সেতুটি ভাঙ্গা না হলে গ্রামের উত্তর পাড়ার সেতু দক্ষিন পাড়ায় চলে যাবে। পরে সেতুটি ভেঙ্গে তারা চলে যায়। স্থানীয় জনসাধারণরা জানান, উপজেলার লাপাং,নবীপুর,চরলাপাং,চিত্র সহ ১০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র সেতু হলো এটি। আজকে দুই মাসের কাছাকাছি হলো সেতু ভাঙ্গা হয়েছে। এখনো বিকল্প সড়ক নির্মান করা হয় নাই। নামাজ পাড়া,বাজার করা,বাচ্চাদের স্কুলে,মাদ্রাসায় যাতায়ত করতে গিয়ে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। সব জায়গায় দেখি নতুন সেতু নির্মান করলে বিকল্প সড়ক করা হয়। আমাদের সেতুর কাজও হয় না সেতুর বিকল্প সড়কও হয় না। এই ভোগান্তির লাগবে স্থানীয় মেয়র শিব শংকর দাস ও এমপি এবাদুল করিম বুলবুল মহোদেয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করি।
ঠিকাদার লোকমান হোসেন জানান, সেতু নির্মানের জন্য সেতুটির এক মাথায় আলমনগর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তার বিপরিত দিকে রয়েছে ব্যাক্তিমালিকানাধিন জায়গা। ব্যক্তি মালিকানাধিন জায়গায় একটি ওয়ালসেট ঘরও নির্মিত রয়েছে। সে জায়গা থেকে ঘর সরিয়ে না নিলে বা তারা বাধা দিলে আমরা সেতুর কাজ শুরু করব কিভাবে। স্থানীয় মেয়র মহোদয় এই বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। আর মানুষ চলাচলে জন্য বিকল্প সড়ক হিসেবে কাঠের একটি মাচা তৈরি করে দিবো কয়েকদিনে মধ্যেই। আর আমাদের বিকল্প সড়ক নিমার্ণের ব্যায়ভার ধরা রয়েছে মাত্র ২ লাখ টাকা।
নবীনগর উপজেলা প্রকোশলী মো. ইসতিয়াক হাসান জানান,আমি যখন যোগদান করেছি তখন এই সেতুটি ভাঙ্গা অবস্থায় পেয়েছি। বিকল্প সড়ক তৈরি না করে সেতু ভাঙ্গার নিয়ম নেই,সেজন্য আমরা ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছি। দ্রুতই সেতুটির কাজ শুরু করার কথা, তবে স্থানীয় কিছু সমস্যা থাকায় কাজটি শুরু করা হয়নি। মেয়র সাহেব সমস্যাটির সমাধান করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। সেতুটি অনেক সুন্দর ভাবে নির্মান করা হবে।
এ বিষয়ে নবীনগর পৌরসভার মেয়র এড. শিব শংকর দাস বলেন, আলমনগর বাসীর দীর্ঘদিনে দাবির প্রেক্ষিতে মরন ব্রীজ হিসেবে পরিচিত আলমনগর উত্তর সড়কের সেতুটি নির্মানের অনুমদন দিয়েছে সরকার। সেতুটি অনুমদন আনতে স্থানীয় সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল ও এলজিআরডির তত্ত্বাবধয়ক প্রকৌশলী নবীনগরের কৃতি সন্তান বিপুল বনিক অনেক সহায়তা করেছেন। আশাকরি অল্পকিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করবেন ঠিকাদার। আর বিকল্প সড়কের কাজ দুদিনের মধ্যেই শুরু করা হবে।