নবীনগরে বার্ণাঢ্য আয়োজনে বর্ষবরণ পালিত
মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর থেকে: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে সারা দেশের ন্যায় নবীনগরেও সাপ্তাহ ব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান পালন করা হয়। ১লা বৈশাখ সকালে প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বর্ষবরণের বিভিন্ন উপকরণে সজ্জিত হয়ে এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এ সময় ঢাক-ঢোলে সরগরম হয়ে উঠে নবীনগরের আদালত বটতলা,আমতলা,নবীনগর ইচ্ছাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও নবীনগর মহিলা কলেজ প্রাঙ্গন। বর্ষবরণে জাগরণী শিল্পী গোষ্ঠি, সপ্তক, তিতাস কঁচিকাঁচার মেলা,চেতনায় ৭১,মেঠোপথ ও অগ্নিবীনা শিল্পী গোষ্ঠির উদ্যোগে গান ও কবিতা আবৃতি পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। তাদের পাশাপাশি চিত্র শিল্পীরাও তাদের রং তুলি নিয়ে শিশুদের হাতে ও গালে বৈশাখি অল্পনা ফুটিয়ে তুলেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম আওয়ামীলীগের নের্তৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পেন্ডেল গুলি ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সকল ভোদাভেদ ভুলে সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রেখে, নবীনগরের সার্বিক উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। দিবসটি উপলক্ষে যেকোন ধরনের নাশকতা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছিলো বিশেষ নজরধারী।
এছাড়াও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রচীন কাল থেকেই এ অঞ্চলের প্রায় গ্রামেই বর্ণাঢ্য সাজে বসে বৈশাখী মেলা। এর মধ্যে পৌর এলাকার ভোলাচং গ্রামে বসে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মেলার হাট। এ মেলা তিনদিন ধরে চললেও কাঠের দোকানিরা তাদের পন্য বিক্রী করেন মাসব্যপী। পুতুল নাচ, বাউল গান, নাগরদোলা, প্রাচীন বাইস্কোপ এখানকার ঐতিহ্য। শিশুরা এখানকার ঐতিহ্যবাহী এসব বিনোদনে আনন্দ উপভোগ করে। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের বায়না মিটাতে এখানে ছুটে আসেন। মেলায় দুরদুরান্ত থেকে আগত ভ্রাম্যমান দোকানীরা তাদের বিভিন্ন খেলনাসামগ্রী, খই, মুড়ি, মন্ডা, তালপাতার পাখা, বাঁশি, ফল, ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেন। মেলার পাশেই গীরিধারী মন্দিরে চলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কীর্তন ও বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। সব মিলিয়ে বাঙ্গালীর এ প্রাণের উৎসবকে ঘিরে সকল ধর্মাবলম্বীদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয় মেলা প্রাঙ্গন।