উপজেলা নির্বাচন-২০১৯
নবীনগরে তৃর্ণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করার অভিযোগে বঞ্চিত প্রার্থীদের সংবাদ সম্মেলন



আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তৃর্ণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’র প্রয়াত আমীর গোলাম আযমের নিকট আত্মীয়কে আ.লীগের প্রার্থী করায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বঞ্চিত প্রার্থীরা।
শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীরা এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মনোনয়ন প্রত্যাশি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগে সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে তৃর্ণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আযমের নিকট আত্মীয় হাবিবুর রহমান স্টিফেনকে দলীয় প্রার্থী করতে মনোনয়ন দিয়েছে উপজেলা আ.লীগ। হাবিবুর রহমান স্টিফেন নবীনগরের বীরগাঁও গ্রামের সোনা মিয়া সরকারের ছেলে ও আমেরিকা প্রবাসী দ্বৈত ধর্মের অধিকারী বিতর্কিত ব্যক্তি। আ.লীগ থেকে নবীনগর উপজেলা নির্বাচন করতে মনোনয়ন ক্রয় করেছেন ৮ জন প্রার্থী। দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ হালিমের প্ররোচনায় ও কৌশলে এই কাজটি করা হয়েছে।
বক্তব্যে আরো বলা হয়, হাবিবুর রহমান সরকার স্টিফেন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় তার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাতিল করতে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় বীরগাঁও ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা মো. সামছুল আলম থেকে আবেদন জানিয়ে ছিলেন। বীরগাঁও গ্রামে গোলাম আযম প্রতিষ্ঠিত সোবহানিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা করেন হাবিবুর রহমান স্টিফেন। আগে গত ২৮ জানুয়ারী নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনজন প্রার্থী চূড়ান্ত করার দায়িত্ব ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের কাধে তুলে দেন দলীয় নেতাকর্মীরা। পরে নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান স্টিফেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা জালাল ও জেলা আ.লীগের সদস্য শাহরিয়ার বাদলের নাম দলীয় মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত দেন স্থানীয় সাংসদ এবাদুল করিম। সাংসদের কার্যালয় থেকে ওই প্রার্থীদের ফোন করে তাদের জীবন বৃত্তান্তসহ সকল কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। তবে হঠাৎ করে সাংসদ এবাদুল করিম দলের একক প্রার্থী হিসেবে হাবিবুর রহমান স্টিফিনের নাম কেন্দ্রে পাঠাতে বলেন।
এই মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীরা স্টিফিনকে বাদ দিয়ে দলের ত্যাগী যে কোন নেতাকে দলের মনোনয়ন দিলে কারো কোন আপত্তি থাকবে না। অন্য যে কোন একজনকে মনোনয়ন দিলে আমরা সকলেই তার জন্য কাজ করব।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে নবীনগর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগরে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ কমিটির সহ-সম্পাদক কাজী জহির উদ্দিন টিটো, কেন্দ্রীয় উপ কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচএম আল আমীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তবে এই ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ হালিম জানান ওনাকে (হাবিবুর রহমান স্টিফেন) নিয়ে বিতর্কের তো কোনো কারণ দেখছি না। যেহেতু হাবিবুর রহমান নিজে রাজাকার বা জামায়াতের লোক নন তাই নৌকা প্রতীক পেলে অমুক্তিযোদ্ধা/মুক্তিযোদ্ধা কোনো ব্যাপার না বলে জানান তিনি।