নবীনগরে খুনের মামলায় আটক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদ রানার অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে আজ রবিবার দুপুরে নবীনগর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঐক্য ফোরামের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই প্রতিবাদ সভা থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারাবন্দি চেয়ারম্যানের মুক্তির (জামিন) দাবি জানানো হয়। তা না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঐক্য ফোরামের নেতারা। গ্রেফতারকৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিমের ছোট ভাই।
রবিবার নবীনগর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদসভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঐক্য ফোরামের সভাপতি পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফিরুজ মিয়া। উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীয়া বিষয়ক সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদসভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এড. সুজিত কুমার দেব, জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক নূরুনাহার বেগম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন সাদেক, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলি আকবর, ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক সরকার (ভিপি এনাম), ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ হারুজ, ইউপি চেয়ারম্যান মৌসুমি বারি সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,মেম্বার ও প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।এসময় বক্তারা বলেন, জোড়া খুনের একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে চেয়ারম্যান মাসুদকে জেলে নেওয়া হয়েছে। তাই আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মাসুদ চেয়ারম্যানের মুক্তিসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে ।
উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালের ১ মার্চ উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে সালিসের কথা বলে ডেকে নিয়ে রছুল্লাবাদের ‘হক ডাকাত’খ্যাত খন্দকার এনামুল হক ও তার ভায়রা ভাই বিজিবির সবেক সদস্য ইয়াছিন মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে নিহত এনামুলের স্ত্রী তসলিমা বাদী হয়ে পার্শ্ববর্তী সাতমোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ রানাকে জোড়া খুনের মামলায় তিন নম্বর আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। গত ৮ মার্চ (সোমবার) এ মামলায় আত্মসমর্পন করতে ব্রাাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন চেয়ারম্যান মাসুদ রানা। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর কওে চেয়ারম্যান মাসুদ রানাকে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।