নবীনগরের লকডাউনে আদালতে চলমান মামলা অবজ্ঞা করে গ্রামীন শালিস করার ঘোষনা, সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে শালিস সভা স্থগিত।
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনি ধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের সাহারপাড় গ্রামে সরকারের দেয়া লকডাউনে আদালতে চলমান মামলা অবজ্ঞা করে জায়গা সংক্রান্ত গ্রামীন শালিস সভা করার ঘোষনা দেওয়া হয়।
আজ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাড়াই ওয়াড মেম্বার ছেনু মিয়ার নেতৃত্বে আদালতে চলমান মামলা অবজ্ঞা করে একপক্ষের অনুৃমতি ছাড়াই জোরপূর্বক প্রায় শতাধিক লোক নিয়ে সাহারপাড় মোড়ে এক গ্রামীণ শালিস সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শালিসি সভা চলাকালে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা শালিসি সভা ভঙ্গ করে যার যার মত করে চলে যায়।
যে ব্যাক্তির জায়গা সংক্রান্ত বিষয়টি সমাধানের জন্য শালিসি সভা ডাকা হয় তিনি ইতিপূর্বে নবীনগর দেওয়ানী আদালতে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য মামলা করে রেখেছে।
এ-সম্পর্কে দেওয়ানী আদালতে দায়ের করা মামলার বাদী আব্দুল কুদ্দুস বলেন,আমরা নিরহ মানুষ, কিছু লোকজন উদ্দেশ্য প্রণীত হয়ে আমাদের জায়গা জবরদখল করার চেষ্টা করে আসছে। তাই আমি ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছি।মহামান্য আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে সেই সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিব। কিন্তু মন্নাফ গংরা সুকৌশলে গ্রামের সাহেব সরদারদের মাধ্যমে গ্রামীণ শালিস ডেকে আমাদের শালিসে থাকার জন্য জোর করছে।
শালিসি সভার বিষয়ে দেওয়ানী মামলার আসামি পক্ষের মন্নাফ মিয়া বলেন,আমি আব্দুল কুদ্দুস সরকারের নিকট থেকে জায়গা ক্রয় করেছি কিন্তু তিনি আমাদের হয়রানি করতে অযথা মিথ্যা মামলা করেছে তাই আজ আমি গ্রামের সবাইকে নিয়ে সামাজিক সমাধানের জন্য শালিসের ব্যবস্থা করে ছিলাম।
উক্ত শালিসি সভায় উপস্থিত থাকা উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা আবদুল্লাহ মাষ্টার বলেন, আমাদের গ্রামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আব্দুল কুদ্দুস ও মন্নাফ মিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এই বিষয়ে অনেক বিচার শালিস হয়েছে, এমনকি মামলা মোকদ্দমা চলতেছে। আমরা বিষয়টি সামাজিকভাবে বসে সমাধানের চেষ্টা করতে আজ একত্রে জমায়িত হয়ে ছিলাম। কিন্তু লকডাউনের কারণে আজকে শালিসি সভা করা হয়নি পরবর্তীতে আমরা বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।
« সরাইলে হেফাজতের তান্ডবের মামলায় গ্রেপ্তার-২ (পূর্বের সংবাদ)