আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি’র কাছে বিচার চাইলেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
মিঠু সূত্রধর পলাশ নবীনগর প্রতিনিধি: নিজ দলের ২২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি এবাদুল করিম বুলবুলের কাছে নালিশ ও বিচার চাইলেন নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জু।
তার এই বিষয়টি নবীনগর উপজেলাসহ জেলাজুড়ে টক অব দা টাউনে পরিণত হয়েছে।
এ ছাড়া বিচার চাওয়ার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতেও সমালোচনার ঝড়ও উঠেছে।
জানা গেছে, রোববার দুপুরে নবীনগর মহিলা কলেজে এমপি বুলবুলের সভা চলাকালীন হাজির হন উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মঞ্জু, এই সময় ভিডিওতে দেখা যায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জু এমপির সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন।
এ সময় তিনি ৭ নভেম্বর একটি অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতাকর্মী যারা তার ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের একটি বিবরণ দেন এবং এ ঘটনায় এমপির কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
ওই সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির পদত্যাগকারী সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন মাঈনু, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী ও পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম রুবেলসহ ২২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নালিশ ও বিচার চান। এমপি এবাদুল করিম বুলবুল তার ওপর হামলার ঘটনার ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
এ সময় নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিমসহ উপজেলা দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে ৭ নভেম্বর পালন করার প্রাক্কালে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সামনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জুর ওপর পদত্যাগকারী ছাত্রদল নেতা হযরত আলী ও রুবেলের নেতৃত্বে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। ওই সময় আনিসুর রহমান মঞ্জুকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়।
ঘটনার চারদিন পর আহত আনিসুর রহমান মঞ্জু বাদী হয়ে ১১ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নবীনগর পৌরসভা সাবেক মেয়র ও পদত্যাগকারী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন মাঈনু, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী ও পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম রুবেলসহ ২২ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে অনুসন্ধান সাপেক্ষে ‘এফআইআর’ করার জন্য নবীনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদ বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।