Main Menu

সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে রিক্সা ও নৌকা চলবে

+100%-

রিক্সা ও নৌকা চলবে সৌর বিদ্যুতে। এটি পরিবান্ধব হবে। এছাড়া বিদ্যুত্চালিত রিক্সা ও ডিজেল চাালিত নৌকার তুলনায় এটি অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী হবে।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগ সৌর চালিত রিকশা ও নৌকার নকশা উপস্থাপন করেছে। ইডকলের সহায়তায় তারা এই নকশা বাজারজাত করবে।
আগামী ২৯ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ইউআইইউ ক্যাম্পাসে আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনে সৌর চালিত রিক্সা ও নৌকা প্রদর্শন করা হবে।
গতকাল রোববার ধানমন্ডিতে অবস্থিত ইউআইইউ এর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রেজওয়ান খান এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের উপযোগী করার উদ্দেশ্যে এই সৌর চালিত রিকশা ও নৌকা তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে যে ডিজেলচালিত নৌকা চলে তার তুলনায় সৌর চালিত নৌকা অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী হবে। কারিগরিভাবে এটি সম্ভব। কিন্তু প্রাথমিক যে খরচ হবে তা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। তিনি বলেন, আর নৌকা সম্পূর্ণ সূর্যের আলোর মধ্যে চলে। ফলে সেখানে আলোর সমস্যা হবে না। রিক্সাও বেশিরভাগ সময় আলোর মধ্যে চলতে থাকে। অনেক সময় রিক্সা যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করে। এই সময়ে তাপ নিয়ে সে চলতে পারবে। এতে করে রিক্সা চালকের কষ্ট কমে যাবে। আয়ও বাড়বে। তড়িত্ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমতেখার আলম জানান, নৌকা তৈরির খরচ ছাড়াও সৌর প্যানেল লাগাতে খরচ পড়বে ত্রিশ হাজার টাকা। ব্যাটারি ৪০ হাজার টাকা এবং ডিসি মোটর ড্রাইভের খরচ পড়বে আট থেকে ১০ হাজার টাকা। প্রাথমিকভাবে অর্থের পরিমাণ বেশি মনে হলেও ডিজেল চালিত নৌকার ক্ষেত্রে যেমন প্রতিদিনই ডিজেল কিনতে হয় সৌর বিদ্যুতের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন নেই। এছাড়া এখন বিদ্যুত্ চার্জ করে যেসব রিকশা চলছে তাদেরও ব্যাটারি চার্জ দিতে টাকা লাগছে, চার্জ হতে সময়ও লাগে। সৌর বিদ্যুত্ ব্যবহার করলে এসব কিছুই প্রয়োজন হবে না। ফলে রিক্সার খরচও কম হবে।






Shares