নাসিরনগরে হামলা :: ভারতে পালিয়েছে আশুতোষ!
রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু পল্লীতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সন্দেহভাজন আশুতোষ দাস ভারতে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার জাহাঙ্গীর আলম বৃহস্পতিবার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অন্যদের সঙ্গে আশুতোষের নাম বলেছে।
জাহাঙ্গীর আদালতকে জানিয়েছিল, রসরাজকে গ্রেফতারের পর আশুতোষ রসরাজের ফেসবুক থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে আরেকটি পোস্ট দিয়েছিল। রসরাজের ফেসবুক আইডি ও পাসওয়ার্ড আশুতোষ জানত। জাহাঙ্গীরের জবানবন্দির পর তাকে ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে একটি গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে, আশুতোষ বর্তমানে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অবস্থান করছে। জানা যায়, নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের মনা দাস মাস্টারের ছেলে আশুতোষ দাস। রসরাজের বাড়ির পাশেই তাদের বাড়ি। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে মাঠকর্মী হিসেবে হরিপুর ইউপিতে কাজ করে সে। হামলার ঘটনার ৪-৫ দিন পর থেকে কর্মস্থলেও অনুপস্থিত। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ওই গোয়েন্দা সংস্থাটি জানায়, আশুতোষের পরিবারের সবার মোবাইল নম্বর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাদের মোবাইলে প্রচুর ভারতীয় ফোন কল আসে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই কলগুলো আশুতোষেরই করা। পরিবারের সঙ্গে আশুতোষের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।
তবে আশুতোষের বাবা মনা দাস মাস্টার বলেন, ‘এ ঘটনায় আমার ছেলে জড়িত আছে কিনা আমি জানি না। তবে জড়িত থাকলে আমিও তার বিচার চাই। সে কোথায় আছে আমরাও জানি না।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘আশুতোষ ঘটনার শুরু থেকে আমাদের টার্গেটে ছিল। জাহাঙ্গীর আলম আদালতে তার নাম বলছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে।’
রসরাজের ফেসবুক পাসওয়ার্ড জানত ২-৩ জন : একটি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, রসরাজের ফেসবুক পাসওয়ার্ড জানত ২-৩ জন। যদিও রিমান্ডে রসরাজ তার ফেসবুক আইডি আছে তা স্বীকার করেনি। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন রসরাজ দাস। মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছিলেন। পরে তিনি তা প্রত্যাহার করেন। এ সময় তিনি টাই পরে একটি ছবিও তুলেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তখন নির্বাচনী প্রচারের জন্য তিনি ফেসবুক আইডিটি খুলেছিলেন। তার ছোট ভাই পলাশ দাস এবং আশুতোষ দাস ছাড়াও আরেকজন তার ফেসবুক পাসওয়ার্ড জানত। তবে তার নাম জানা যায়নি।