আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম নাসিরনগরের খবর
কলকাতা ২৪X৭:: ধৃত রসরাজের ফোন থেকে কোনও বিতর্কিত ছবি পোস্ট হয়নি: পুলিশ
বিবিসি বাংলা::নাসিরনগরের ডায়েরি: ‘মনে হয় না আমরা এদেশে টিকতে পারবো’
বিবিসি বাংলা:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দুদের বাড়িতে আবারো হামলা, অগ্নিসংযোগ
আনন্দবাজার পত্রিকা :: বাংলাদেশের ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় মন্দির, ঘরবাড়ি ভাংচুর
বিবিসি শিরোনাম করেছে :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেসবুকে ইসলাম-বিদ্বেষী ছবির জেরে হিন্দুদের বহু বাড়ি-ঘর, মন্দির, দেব-দেবীর মূর্তি ভাংচুর
ভিডিও: নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলার সরেজমিন রিপোর্ট
ডি ডব্লি্উডটকম :: বাংলাদেশের জয়ের দিনে হিন্দুদের মন্দিরে, ঘরে হামলা
প্রশাসনের ঢিলেমির সুযোগেই মন্দিরে হামলা
thequint.com :: Mob Destroys Hindu Temples & Homes in Bangladesh Injuring Over 100
hinduexistence.org :: Jihadi Mayhem in Brahmanbaria during Diwali. 15 Hindu temples destroyed, over 100 injured in Bangladesh by Radical Muslims.
zeenews.india.com :: Bangladeshi Hindus under attack, temples destroyed
ফেসবুকে ‘ইসলাম বিরোধী’ পোস্ট, ভাঙা হল হিন্দু মন্দির
satyavijayi.com :: BREAKING!! 10 Hindu Temples & 100 plus Hindu Homes have been Destroyed in Bangladesh After This Happened
সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফেসবুকে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে এবার বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় হিন্দু মন্দির ও বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট চালাল মৌলবাদীরা। ঢাকা থেকে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার দূরে নাসিরনগর থানার হরিপুরে রবিবার ঘটে এ ঘটনা।
জানা যাচ্ছে, অন্তত ৬টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ও ২৫টি বাড়ি লুটপাট করা হয়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও ব়্যাবও মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সকালে। হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস (৩০) নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন, যা ইসলাম ধর্মের পক্ষে অবমাননাকর বলে অভিযোগ আনা হয়। ওই যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় উত্তেজিত জনতা। যুবকের শাস্তির দাবিতে নাসিরনগরে ধর্মীয় দল আহলেসুন্নাত-ওয়াল-জামাত ও হেফাজত ইসলাম বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল দুটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘোরার শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এই সমাবেশ থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশ থেকে একদল লোক বের হয়ে ২৫টি হিন্দু বাড়ি এবং দত্তবাড়ি মন্দির, জগন্নাথ বাড়ি মন্দির-সহ ৬টি মন্দিরে ভাঙচুর চালায়। এসময় বেশ কিছু প্রতিমাও ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারীরা ব্যাপক লুটপাটও করে। তাদের হামলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন জখম হন। পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। জেলা প্রশাসক মহম্মদ রেজওয়ানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মহম্মদ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তিন কোম্পানি বিজিবি মোতায়েন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল করিম জানান, আলেম-ওলামাদের নিয়ে পুলিশ সুপার বৈঠক করেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। রসরাজের বিরুদ্ধে থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকেও খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার কথা জানায় পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত যুবক রসরাজের পরিবারের সঙ্গে এলাকার কয়েকজনের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তাকে বিপদে ফেলতে তার নামে ফেসবুকে ভুয়া একাউন্ট খুলে এই ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়ানো হতে পারে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। বিবৃতিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, হামলাকারীরা অসংখ্য বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালিয়েছে। কমপক্ষে ১০টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। এটা বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। এতে সংখ্যালঘু জনগণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তিনি অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতার ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।