জেদ্দায় হাজীগণের সম্মানে শুভেচ্ছা বিনিময় সভা



আবুল বাশার বুলবুল, জেদ্দা, সৌদি আরব:: আলহামদুলিল্লাহ, এবার নির্বিঘ্নে হজ সম্পন্ন হয়েছে। এটা সবার জন্যে স্বস্থির, সুখের। পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে হাজীগণ দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। সৌদি আরব প্রবাসীরা আপনজন এবং এলাকার হাজীগণের খোঁজখবর নিচ্ছেন, আদর আপ্যায়ন করছেন। হাজীগণের সম্মানে হচ্ছে অনুষ্ঠান-আয়োজন। ২৩ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে আসা হাজীগণের সম্মানে শুভেচ্ছা বিনিময় সভার আয়োজন করে যৌথভাবে জেদ্দাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রবাসী কল্যাণ সমিতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্পোর্টিং ক্লাব।
জেদ্দাস্থ হোটেল লিমার-এ অনুষ্ঠিত শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রবাসী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন ভূইয়া। প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সিলর আজিজুর রহমান। সম্মানিত বিশেষ অতিথিগণের মধ্যে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন ডা. এনাম খান, এমওয়াই আলাউদ্দিন, আবুল বাশার বুলবুল, লুৎফুল কবির, খন্দকার আবুল কালাম আজাদ, আলমগীর হোসেন আসাদ প্রমূখ।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এমরান মোল্লা।
অতঃপর হাজীগণকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন জেদ্দাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রবাসী কল্যাণ সমিতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্যবৃন্দ।
উপস্থিত হাজীগণের পক্ষে বক্তব্য রাখেন হাজী খলিল আহমেদ এবং হাজী শেখ আবুল কাশেম। তাঁদের সম্মানে শুভেচ্ছা বিনিময় সভার আয়োজনের জন্যে তাঁরা আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং প্রবাসীগণের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আলোচকগণ এ বছর নিরাপদে হজ সম্পন্ন হওয়ায় আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করেন। বাংলাদেশি হাজীগণের কিছু সমস্যার বিষয় আলোকপাত করে সুষ্টু হজ ব্যাবস্থাপনা প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেণ। তাঁরা বলেন, ঢাকায় হজ ফ্লাইটের বিলম্ব, হজের অনিশ্চয়তা খুবই দুঃখজনক। এরপর ফিরতে হজ ফ্লাইটের ৬/৭ ঘন্টা বা তারও বেশি বিলম্ব হজ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাই প্রমান করে। এসব ত্রুটি বিচ্ছুতির সঠিক কারণ নির্ণয়সহ এর থেকে উত্তরণের আহ্বান জানান আলোচকগণ। তাছাড়া ভারতের উদাহরণ টেনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দ্বারা হজ ভলান্টিয়ার টিম গঠনের দাবী জানান আলোচকগণ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কাউন্সিলর আজিজুর রহমান আলোচকগণের বক্তব্যের প্রতি সহমত পোষণ করে বলেন, ইতিমধ্যে কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে, হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশসহ প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। মক্কা-জেদ্দার রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সহায়তায় হজ ভলান্টিয়ার নিয়োগের পদক্ষেপ নিলে ভবিষ্যতে হজ ব্যবস্থাপনায় সুফল আসবে বলে তিনি অভিমত রাখেন। হাজীগণের সম্মানে এমন একটি চমৎকার আয়োজনের জন্যে তিনি আয়োজকদের সাধুবাদ জানান।
সভাপতির সমাপনি বক্তৃতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দন ভূইয়া শুভেচ্ছা বিনিময়ে উপস্থিত হওয়ার জন্যে সম্মানিত হাজীগণ, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিবৃন্দ এবং সুধীজনদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় জেদ্দা হজ মিশনকে সহায়তার জন্যে মক্কা-জেদ্দার রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন সমূহ সানন্দে এগিয়ে আসবে বলে তিনি অভিমত জানান।
আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।