বাহিরের শত্রু ঘরে বিভীষণ তৈরী করতে পারে :: দলীয় পরিচয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে অন্য ধরণের তৎপরতা
কসবা প্রতিনিধি ও ডিটিভি ঃ পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচন দলভিওিক হওয়ার কথা রব উঠেছে সারা দেশেই। কিন্ত আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন দিয়েই প্রথমবারের মতো দলভিওিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতির জারি করা এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশের কপি গত ৩ নভেম্বর হাতে পাওয়ার পর নির্বাচনের প্রস্ততি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)। আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন উপযোগী ২৪৫টি পৌরসভায় নির্বাচন সম্পন্ন করতে এর মধ্যে বিধিমালার কাজ শেষ করে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশনের সংীশ্লষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। জাকের পার্টি বাস্তহারা ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী এ সিদ্ধান্তকে যুগোপযোগী বলে অভিহিত করলেও তড়িঘড়ি করে স্বল্প সময়ে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাচন করাটা কতটুকু ভালো হতে পারে তা এই সরকারই ভালো জানেন । কারণ তৃণমূল পর্যায়ের ছোট রাজনৈতিক দল গুলোকেও সহজ নিবন্ধনের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কতটুকু সুযোগ দিবে নির্বাচন কমিশন তা এখন প্রশ্ন উঠেছে। অপর দিকে এই পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে তৎপর হয়ে উঠেছেন সকল দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। দলীও মেয়র,কাউন্সিলর প্রার্থী বাদ পড়ার আশস্কা ও দলীও মনোনয়ন অপেক্ষায় সময় কাটছে অনেকের। প্রত্যেক সম্ভাব্য পদ প্রার্থীরা নিজেদের কর্মতৎপরতা দেখাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এই দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল পৌরসভায় নির্বাচনকে ঘিরে চলছে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা। ব্যানার ফেষ্টুন আর সভা সমিতি,মিলাদ মাহফিলে চলছে তাদের আগাম শুভেচ্ছা বিনিময়। কসবা ও আখাউড়া পৌরসভায় দলীও মেয়র বা কাউন্সিলর পদে সিনিয়র নেতারা ও যোগ্য প্রার্থীরা মনোনয়ন না পেলে কোন্দল তলে তলে বাড়তে পারে বলে কেউ কেউ আশস্কা করছেন। আবার দলীও মেয়র ও কাউন্সিলর পদ পাওয়ার আসা সদ্য যোগদানকারীরা মনোনয়ন না পেলে ঘরের শক্র বিভীষণ করাতে পারে বলেও কথা উঠেছে মাঠে ঘাটে । ক্ষমতাসীন দলে যোগদান করে যারা সুবিধা ভোগ করার জন্য আসে তাদেরকে দলের বাহিরে রাখার জন্য অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন। কারণ তারা বাহিরের শক্র ঘরে এসেই বিভীষণ করার সকল অপচেষ্টা লিপ্ত থাকতে পারেন বলেও কথা উঠেছে। দলীও ভিওিক স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে এক দিকে যেমন ভালো অপর দিকে নির্বাচনে কেন্দ্র দখলবাজি করা সম্ভব নাও হতে পারে বলেও কেউ কেউ অভিমত প্রকাশ করেছেন। কারণ সকল দলের নেতাকর্মী, প্রার্থীরা ব্যাপক তৎপরতা থাকবেন। ইচ্ছা করলেই ভোট কেন্দ্র দখল করতে পারবে না বলেও কথা উঠেছে। এক কথা পৌরসভা দিয়েই ২০১৬ সালের নতুন বছর দলভিওিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।