টি-২০ বিশ্বকাপ: অপপ্রচারে ব্যস্ত ভারত
ঢাকা : ক্রিকেট বাণিজ্য সম্পূর্ণ নিজেদের দখলে রাখতে ও টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ নিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবদলের বাংলাদেশ সফর বাতিলকে নিরাপত্তা সংকটের ইস্যু বানাচ্ছে দেশটি।
নিরাপত্তা ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সফর বাতিল করে দেশে ফিরে গেছে ওয়েস্টে ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ৭ ডিসেম্বর চট্ট্রগামের আগ্রাবাদ হোটেলের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ভীত হয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রবিবারের ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানায় দলটি। পরে নিরাপত্তার অজুহাতে সফর শেষ না করেই ফিরে যায় তারা। আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে উঠে-পড়ে লেগেছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড।
ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী বোর্ডের মতে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সহিংসতায় লিপ্ত। অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের মৃত্যু বাংলাদেশে টি-টিয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজনকে হুমকির মুখে ফেলবে। তারা বলছে, অবরোধে এখনও পর্যন্ত ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলাই বিপদজ্জনক হয়ে পড়বে। বাংলাদেশে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে ভারতের এত হৈচৈ করার পিছনে আছে, ক্রিকেট বাণিজ্য ও নিজেদের দেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনে নিজেদের অংশভাগ নিশ্চিত করা।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের(আইসিসি)নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এখনও সন্তুষ্ট প্রকাশ করে আসলেও ভারতের ক্রিকেট বোর্ড আগা বাড়িয়ে নানান প্রশ্ন তোলা শুরু করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি) বিশ্বকাপ চলাকালে খেলোয়াড় ও ক্রিকেট দলের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানের ঘোষণাও দিয়েছে। বিসিবি’র এই ঘোষণা আইসিসির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দলকে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজনে আরও নিশ্চয়তা প্রধান করবে। কিন্তু ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যাকে ক্রিকেটের জন্য হুমকি আখ্যা দিয়ে জোর প্রচার চালাচ্ছে। যদিও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যার সাথে কোনভাবেই ক্রিকেট জড়িত নয়। এমনকি হরতালের সময় ক্রিকেট খেলাকে হরতালের আওতামুক্ত রাখা হয়। সর্বশেষ, বাংলাদেশ- নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট সিরিজের সময় ক্রিকেট খেলা ও খেলোয়াড়দের বহনকারী যানবাহন হরতালের আওতামুক্ত।
আগামী বছরের মার্চ মাসের মার্চ ১৬ থেকে এপ্রিল ১৬ পর্যন্ত বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলা অনুষ্টিত হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের স্টেডিয়ামে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে জুলাই মাসের ৫ তারিখ ভেন্যু সংক্রান্ত সমস্যা হলে ভারত তাদের দেশে ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছিল।