এশিয়া কাপের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র; তিন জনের বিরুদ্ধে বিসিবির জিডি!



আসন্ন এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ষড়যন্ত্রের আশংকা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। এরই মধ্যে তাই একজন ব্যবসায়িক অংশীদারসহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদাভাবে সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই সংস্থাটি।
একটি ইংরেজি পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৯ জানুয়ারি মিরপুর থানায় রিজওয়ান বিন ফারুক, ইফতেখার রহমান ও এসএম নেওয়াজ সোহাগ; এই তিনজন এশিয়া কাপের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে এমন অভিযোগ তুলে বিসিবির পক্ষ থেকে জিডি করা হয়েছে।
জিডিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত তিনজন চলতি ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপে স্পন্সরশিপের অধিকার না পাওয়ায় বিসিবি কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়েছেন।
এক্সিয়ম টেকনোলোজিসের কর্ণধার রিজওয়ান চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বিসিবির ব্যবসায়িক অংশীদার। বাকি দুজনও বিসিবির ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
খুব স্বাভাবিকভাবেই অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি। দেশের একটি ইংরেজি পত্রিকাকে এ প্রসঙ্গে রিজওয়ান বলেন, ‘আমি মনে করি এটা সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি। আমি এশিয়া কাপের জন্য দরপত্রই দিয়েছিলাম না।’
ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানকে এশিয়া কাপের কাজ দেওয়া হয়েছে বলে জানান এক্সিয়ম গ্রুপের কর্তা। তিনি বিসিবির কর্মকর্তাদেরকে হুমকি দিয়েছেন, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বললেন, ‘আমি নিজেই তো টুর্নামেন্টের সঙ্গে ভালোভাবে জড়িত, সেখানে কেন আমি বিসিবির কর্মকর্তাদেরকে হুমকি দেবো!’
পুরো ব্যাপারটাই তার ইমেজ নষ্ট করার জন্য করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি বিসিবির কোন ইভেন্টেই স্পন্সর নেইনি। বিসিবির সঙ্গে আমাদের কিছু ব্যবসা আছে, সেটা আমার ভাই চালান। মূলত, বিসিবির এক্যটা অংশ আমার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে। এসব তাদেরই কাজ।’
রিজওয়ান ছাড়াও অভিযুক্ত তিনজনের আরো একজন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের সদস্য। এই মূহুর্তে তিনি অবস্থান করছেন শ্রীলংকাতে।
এদিকে, এ প্রসঙ্গে মিরপুর থানার এসআই কামাল হোসেন জানিয়েছেন, পুরো ব্যাপারটিই ব্যবসা সংক্রান্ত। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণেই জিডি করা হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।
বলেছেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত বলছে এটা শুধুমাত্র ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব। আমি এখনো অন্যকোন মোটিভ খুঁজে পাইনি।’
প্রসঙ্গত, জিডি করা হলেও বিসিবির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাপারটি সংবাদ মাধ্যমে কোন আলোচনা করা হয়নি।