আনন্দবাজারেও সাকিবের ‘না থাকা’ নিয়ে উদ্বেগ!
মাত্র শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট-বলে ফিরেছেন পুরনোরূপে। তারপরেও আইপিএলে নিজের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের(কেকেআর) হয়ে পরপর দুই ম্যাচেই মাঠের বাইরে তিনি। ব্যাপারটি যেমন ভাবাচ্ছে কেকেআর সমর্থকদের, তেমনই আলোচনা চলছে গণমাধ্যমেও।
গণমাধ্যমের আলোচনায় পিছিয়ে নেই কলকাতার শীর্ষ বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারও। সাকিবকে নিয়ে প্রকাশিত ‘সাকিবকে না খেলানোর খেসারত কি দিতে হল কলকাতাকে?’ শীর্ষক প্রতিবেদনেও হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে সাকিবের না থাকার কথা উঠে এসেছে। দারুণ সময় কাটানো সাকিবের ডাগআউটে বসে থাকাটা কি কেকেআরের শক্তি কমিয়ে দিচ্ছে না? বাকিদের মতো আনন্দবাজারেও বলা হয়েছে, নারাইনের অভাবে সাকিব একরকম নিশ্চিত ছিলেন; তারপরেও বাইরে থাকতে হয়েছে তাকে।
পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটি হুবুহু তুলে দেওয়া হলো-
‘সাকিবের মতো একজন অলরাউন্ডারকে বাইরে বসিয়ে রাখাটা কি কাল হল কলকাতা নাইট রাইডার্সের? দিল্লির বিরুদ্ধে হাসতে হাসতে জয় এসেছিল ঘরের মাঠে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে দলকে। প্রথম ম্যাচে বোলাররা দারুণ খেললেও দ্বিতীয় ম্যাচে সেইভাবে কাজে লাগেনি তাঁরা। ইডেনের এই পিচে সাকিবের মতো একজন স্পিনার কতটা কাজে লাগত সেটা হয়তো সময়ই বলবে। কিন্তু পরীক্ষা-নিরিক্ষার মধ্যেই গেলেন না অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। বরং পরপর দুইটি ম্যাচে দলের বাইরেই থাকতে হল বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারকে। তিনি সাকিব আল হাসান। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের হয়ে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ খেলেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের মাটিতে তাঁর ব্যাট থেকে রান ও বল হাতে উইকেট প্রমাণ করেছে ফর্মে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। সেই সাকিবকে বসে থাকতে হল দু’ম্যাচ। সুনীল নারাইন না থাকায় ভাব হয়েছিল সেই জায়গা নেবেন সাকিবই। কিন্তু তেমনটা হল না। শেষে দেখা গেল নারাইনও খেললেন না, খেলানো হল না সাকিবকেও। যার ফলে স্পিন আক্রমণে কিছুটা পিছিয়েই থাকল কেকেআরের বোলিং। তৃতীয় ম্যাচে আশা করা যায় প্রথম একাদশে দেখা যাবে দু’জনের কোনও একজনকে।’