ক্রিকেটের জন্য সুখবর :: বাংলাদেশে আসছে ইংল্যান্ড
২৬ অগাষ্ট: ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) নিশ্চিত করেছে যে, ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর পরিকল্পনা মতোই এগিয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার রাতে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন-ক্রিকইনফো এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়।
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার পর ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে দেখা দেওয়া শঙ্কা কাটল। বাংলাদেশ সফর আসার কথা নিশ্চিত করেছে ইসিবি। ক্রীড়ামোদীরা যখন ঘুমে, তখন দেশের মানুষের জন্য এ ভালো খবরটি বয়ে আনল ইসিবির বৃহস্পতিবারের ওই সিদ্ধান্ত।
এর আগে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফর করেনি। তাই গত ১ জুলাই সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়েও দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তা। সেই অনিশ্চয়তায় কাটল।
ইসিবির নিরাপত্তা পরামর্শক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা রেগ ডিকাসন, পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠনের প্রধান নির্বাহী ডেভিড ল্যাথারডেল ও ইসিবির ক্রিকেট পরিচালনা পরিচালক জন কার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার করেন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম, ফতুল্লা স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও হোটেল দেখে তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ছাড়ে ২০ আগস্ট। তারা ইসিবিকে জানান যে, বাংলাদেশ সরকার যে ধরনের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাতে আসন্ন সফর নিরাপদ হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে এক সভায় ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এউইন মরগানসহ ক্রিকেটারদের বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান রেগ ডিকাসন। সেখানে ইসিবির ক্রিকেট পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডেভিড ল্যাথারডেল ও জন কারও। ওই সভার পরই অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস বলেন, ‘ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর পরিকল্পনা মতোই এগিয়ে যাবে।’ স্ট্রাউস জানান, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখবেন। এ পর্যবেক্ষণ সিরিজের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত।
পূর্ণ সফর হলেও আগে ওয়ানতে দলেরই বাংলাদেশে আসার কথা। মরগানের নেতৃত্ব ৩০ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দল দেশ ছাড়বে বলে ঠিক করা আছে।
এর আগে পেসার জেমস অ্যান্ডারসনও বলেছিলেন, বোর্ডকে বলেছে এই সফরে যেতে তাঁর আপত্তি নেই। আর সহকারী কোচ পল ফারব্রেস বলেছিলেন, নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলেও এই সফরে যাওয়া উচিত ইংল্যান্ডের।