পাঁচতলা থেকে ফেলে দেয়া নবজাতকটি বিপদমুক্ত
ঢাকার বেইলি রোডের একটি ভবনের পাঁচতলার জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেবার পরেও, বেঁচে গিয়েছিল শিশুটি। মাথায় আঘাত এবং বাম পায়ে ফ্রাকচার নিয়েও নবজাতকটি এখন বিপদমুক্ত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। সোমবারের ঐ ঘটনা নিয়ে দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা চলছে। ঢাকার আদদ্বীন হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে দুইদিন বয়সী ছেলে শিশুটি।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা নাহিদ ইয়াসমিন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, শিশুটির মাথায় আঘাত এবং বাম পায়ে ফ্রাকচার রয়েছে। সেসবের চিকিৎসা চলছে।
তবে, নবজাতকটি এখন পুরোপুরি বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, গতকাল দুপুরে বেইলি রোডের একটি কাপড়ের দোকানের একজন কর্মচারী পুলিশে খবর দিয়ে জানান, তাদের দোকানের ওপর কেউ একটি বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলেছে। পরে পুলিশ গিয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে আদদ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করে। মি. রহমান বলছেন, ঐ দোকানের পাশের আবাসিক ব্লকে খোঁজখবর করে তারা জানতে পারেন সেখানকার একটি ভবনের পঞ্চম তলার একজন কিশোরী গৃহকর্মী সকালেই সন্তানটি প্রসব করেছে। একই ফ্ল্যাটের আরেকজন গৃহকর্মী শিশুটিকে ভূমিষ্ঠ হতে সাহায্য করেছিল। মি. রহমান জানিয়েছেন, পুলিশ ঐ কিশোরী মাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। কিশোরী মা পুলিশকে জানিয়েছে, নবজাতকটির বাবা মেয়েটির দুলাভাই।
ধর্ষণ করায় এবং পরবর্তীতে দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করায় জন্মে দেবার পরই নবজাতকটিকে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় মেয়েটি।