খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার প্রতিবাদে সোমবার সারাদেশে বিক্ষোভ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আগামী সোমবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
শনিবার সন্ধ্যায় দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, যাত্রাবাড়ি থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে সোমবার দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় দিনব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এ ছাড়া রাজধানীতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান পুলিশি বাঁধায় পণ্ড হয়ে যাওয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউশনে কৃষিবিদদের সংগঠন অ্যাবের আলোচনা সভা পুলিশী বাধায় পণ্ড হওয়া প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, অ্যাবের ওই আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিবের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। ইনস্টিটিউশনের অনুমতিসহ প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরও পুলিশ প্রোগ্রাম বানচাল করে দিয়েছে। কোনো কারণ, অজুহাত ও যুক্তি ছাড়াই সম্পূর্ণ গায়ের জোরে এটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটারবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দলের নেতারা স্বাধীনতার একক দাবিদার হিসেবে সারা দেশে ওলট-পালট করে বেড়াচ্ছেন হয়। মনে হয়, স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দেশের আর কারো কোনো ভূমিকাই ছিল না। একমাত্র ভূমিকা ছিল শেখ হাসিনা আর তার পরিবারের। যদিও সত্যিকারের ইতিহাসের পাতায় এর দৃশ্যমান কোনো দৃষ্টান্ত নেই। কিন্তু উনি গায়ের জোরে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও বন্দুকের জোরে স্বাধীনতার একক ঠিকাদার সেজেছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সেটি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন হোক, আর কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউশন হোক কিংবা অন্য যেকোনো সরকারি মিলনায়তন বা জেলা পরিষদ মিলনায়তনই হোক। যেন এগুলো ওদের ব্যক্তিগত মালিকানা, তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। সেখানে তারা কারণে-অকারণে প্রোগ্রাম করবেন। অথচ অন্য রাজনৈতিক দলের সেখানে (প্রোগ্রাম করার) কোনো অধিকার নেই।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, আবুল খায়ের ভুইয়া, সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।