কসবায় সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা, যুবলীগের সফিকসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কসবা প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কাঞ্চনমুড়ি গ্রামে একই এলাকার পানাইয়ার পাড় গ্রামেগ২৮ আগস্ট শুক্রবার বিদ্যুৎ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রীর আগমনে উপলক্ষে এক পূর্ব প্রস্তুতি সভা গত ২৬ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় মাগরিববাদ সাংবাদিক খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালীর বাড়িতে এক সভা ডাকা হয়। এমতাবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আইনমন্ত্রীর সভাকে পন্ড করার জন্য কসবা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ২৪ মামলার আসামী মোঃ সফিকুল ইসলাম পিতা সিরাজুল ইসলাম,তাঁর ভাই পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলমসহ ২০জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হামলা চালিয়ে সাংবাদিক ঢালীর বাড়ি ঘর ভায়ংচুর, লুটপাটসহ ক্ষয়ক্ষতি করেন। ঢালীর চাচাতভাইসহ ৬ জনকে আহত করে। আহত মোঃ হাবিবুর রহমান(৪৭),মোঃ নাজমুল পাঠান(১৮),আবু ছফিয়ান(১৫)কে আশস্কাজনবস্থায় কসবা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার সময় সাংবাদিক খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছিলেন। সফিক গংদের ইট,পাথরের নিক্ষেপে আর অপ্রত্যাশিত কথা বার্তায় সাংবাদিক ঢালীর পরিবার পরিজন আতংকে ছিলেন । পুলিশের উপস্থিতি অবশেষে বাড়ির মহিলা,ছোট ছোট শিশুরা রক্ষা পায়।
অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান,কসবা থানায় উক্ত সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কসবা থানায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ অনেক মামলা রয়েছে । এ ঘটনায় কসবা থানায় ২৬ আগস্ট রাতে সফিকুল ইসলামসহ ৯জনসহ অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সফিকের ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেন (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়েছে আর বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
সফিকুল ইসলাম গংদের হামলার ঘটনাটির নিন্দা জানান জানিয়েছেন কসবার সচেতন মহল ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। দীর্ঘ দিন যাবৎ সফিক ও তার পরিজনর হাতে কাঞ্চনমুড়ি গ্রামবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছিল। অপর দিকে আসামী পক্ষরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয় ভিতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে বাদি পক্ষেও লোকজন জানান।