কসবায় বজ্রপাতে নিহত-২ আহত-৪
কসবা প্রতিনিধি(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) :: ব্রাহ্মণাবড়িয়ার কসবায় গতকাল সোমবার বেলা তিনটায় বজ্রপাতে দুইজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে বাড়ির মালিকসহ চারজন আহত হয়েছে। আহতদের কসবা ও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার কেবলাই গ্রামের আতর আলীর পুত্র আব্দুল গফুর (৫০), একই গ্রামের ধন মিয়ার পুত্র আব্দুল হামিদ (৫০)। খবর পেয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম হাসপাতালে নিহত ও আহত শ্রমিকদের দেখতে যান। এ সময় ইউএনওর উপস্থিতিতে নিহত দুই শ্রমিকের লাশ সোমবার বিকাল সাড়ে চারটায় নিহতের সহকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করেছে কসবা থানা পুলিশ। আহতরা হলেন; সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার নমসানিয়া গ্রামের সামসুদ্দিন মিয়ার পুত্র মরম আলী (৪০), একই উপজেলার শামাসানিয়া গ্রামের তাহের আলীর পুত্র সাইদুর রহমান (৩২), কসবা উপজেলার গুরুহিত গ্রামের তাহের মিয়ার পুত্র আমিরুল (৩৫) ও আমিরুল মিয়ার পুত্র শাহাবুদ্দিন (৩)। শাহাবুদ্দিনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অপর আহতদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে; সুমানগঞ্জের কয়েকজন শ্রমিক কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের টিঘরিয়া গ্রামের বাদল মিয়ার বাড়িতে থেকে বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকের কাজ করতেন। সোমবার শ্রমিকরা একই গ্রামে তাহের মিয়ার জমির ধান মাড়াই করার জন্য মাঠে কাজ করছেন। বিকাল তিনটায় হঠাৎ বৃষ্টি আসে। এ সময় বজ্রপাত হয়। এতে আবদুল গফুর, আবদুল হামিদ, মরম আলী, সাইদুর রহমান, আমিরুল ওশাহাবুদ্দিন গুরুতর আহত হন।
তাদেরকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে এলে আবদুল গফুর ও আবদুল হামিদকে মৃত ঘোষনা করেন চিকিৎসক। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) মামুনুর রহমান বলেন; বজ্রপাতে দুইজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। তবে বজ্রপাত সরাসরি নিহতদের উপর আঘাত করেনি। একটু দুরে বজ্রপাত ঘটলে বৈদ্যুতিক শক ও শব্দে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। এদের মধ্যে শাহাবুদ্দিনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।