নাসিরনগরে নিখোজের ২২ দিনেও খোজ মিলেনি নৌকা চালক মোঃ মিলনের
মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ বাড়িতে শোকের মাতম। চারদিকে কান্নার রোল, একি অপহরণ,গুম না হত্যা? এর রহস্য এখন পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্গলা রক্ষাকারী বাহিনীও। পিতৃমাতৃ হারা মিলন (২৮),পিতামৃত- মহরম আলী,নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ায় তার বসবাস। অসহায় ও দরিদ্র পরিবারে তার জন্ম। মাতা পিতা মারা গেছে প্রায় ছোট বেলায়।তার পর থেকে মিলনকে টানতে হচ্ছে সংসারের ঘানি। বিয়েও করেছে সুলতানাকে।তার রয়েছে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান,নাম আসাদ উল্লাহ। বর্তমানে স্ত্রী সুলতানা অন্তসত্তা।গতকাল সরজমিন তার বাড়িতে গেলে সাংবাদিক এসেছে বলে তার বাড়িতে শুরু হয়েছে কান্নার রুল। স্ত্রী সুলতানা, ফুফু জুলেখা, অবুঝ শিশু আসাদ উল্লাহর কান্নায় উপস্থিত সকলের চোখ দিয়ে ঝর ঝর করে ঝরতে থাকে। আকাশে বাতাশে শুরু হয় এক হৃদয় বিধারক দৃশ্যের অবতারণা। স্বামী হারা স্ত্রী,পিতৃহারা শিশু,ভাইপো হারা ফুফুর কান্না ও আর্ত চিৎকারে আকাশ বাতাশ ভারি হয়ে উঠছিল।
এলাকাবাসী প্রত্যক্ষদশী ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, থানা ও র্যাব বরাবর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত মহরম আলীর ছেলে মিলন মিয়া ২৮,পেশায় একজন ইঞ্জিন নৌকা চালক । জীবিকার সন্ধ্যানে প্রতিদিনের ন্যায় ৯ জুলাই রোজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চার ঘটিকায় অজ্ঞাতনামা তিনজন লোক নিয়ে ডাক বাংলো ঘাট হইতে পার্শ্ববর্তী কিশোর গঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। সেই যে গেল আর ফিরে এল না। এ পর থেকে এখন পর্যন্ত নিখোজ মিলনের সন্ধান ফেল না কেউ। আত্মীয়স্বজনরা হন্যে হয়ে খোজছে। একি খুন,গুম,নাকি অপহরণ সঠিকভাবে বলতে পারছেনা কেউ। ঘটনার পরদিন চাচা মন্টু মিয়া নাসিরনগর থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরীও করেছেন। লিখিত অভিযোগ করে র্যাব-১৪ ভৈরব কিশোরগঞ্জ বরাবরে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনও নিখোজ মিলনকে রয়েছে তৎপর। তার পরও কোন সন্ধান মিলেনি নিখোজ নৌকা চালক মিলনের। এ বিষয়ে নিখোজের স্ত্রী সুলতানা বেগম জানান মিলন আমার স্বামী ফিরতে দেরি দেখে সন্ধ্যা ৭ টায় তার নাম্বারের ফোন দিলে তিনি জানান অষ্টগ্রামে আছেন। এর পর থেকে নাম্বারে কয়েকবার রিং হলেও পরে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল কাদের জানান নিখোজ মিলনকে উদ্ধারে পুলিশ প্রশাসনের লোকজন তৎপর রয়েছে। তিনি বলেন আমরা মিলনকে উদ্ধারে বিভিন্ন ভাবে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা কেউ বলতে পারছে না।