সরাইলে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
মোহাম্মদ মাসুদ :: কচুরীপানা চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের টিঘর গ্রামে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে দাঙ্গাবাজরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট এবং দুই রাউন্ড টিয়ার সেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১১ দাঙ্গাবাজকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের প্রত্যেককে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, টিঘর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার ইব্রাহিম মিয়া কয়েকদিন ধরে তার বাড়ির পাশের খালে কিছু কচুরীপানা রশি দিয়ে জমা করে রাখেন। গত শনিবার কিছু কচুরীপানা রশির বাঁধন খুলে ছুটে যায়। গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মাহতাব মিয়া ছুটে যাওয়া কচুরীপানা গুলো নিজের দখলে নিয়ে যায়। গত শনিবার বিকেলে ইব্রাহিম মিয়া কচুরীপানা গুলো মাহতাব মিয়ার কাছে চাইতে গেলে মাহতাব মিয়াকে তাকে শাসিয়ে দেন। বিষয়টি ইব্রাহিম মিয়া গ্রামের সর্দারদের জানালে মাহতাব মিয়ার লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে ইব্রাহিমকে মারধর করেন।
এ ঘটনার জের ধরে রবিবার সকালে উভয় দলের দাঙ্গাবাজরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে দাঙ্গাবাজরা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট এবং দুই রাউন্ড টিয়ার সেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
তিন ঘন্টার সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইয়াছিন মিয়া (২০), উসমান গনি-(২২), মনির মিয়া-(১৮), জামির মিয়া-(১৮), কবির মিয়া-(২৬), কুদ্দুছ মিয়া-(২০), তারা মিয়া- (৩০), গোলাপ মিয়া-(২০), আমজাদ মিয়া- (৩২), মঞ্জুর আলী-(২৮) ও ছায়েদ আলী-(৪০)সহ ১১ দাঙ্গাবাজকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ এমরান হোসেন প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।
আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী আরশাদ বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। তিনি বলেন ১১ দাঙ্গাবাজদের গ্রেপ্তার করেছি। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রনে ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট এবং দুই রাউন্ড টিয়ার সেল ছুঁড়ার কথা স্বীকার করেন।