বিএনপি এখনো জঙ্গীবাদী জামায়েতকে ছাড়েনি :: ইনু
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইনু বলেছেন, বিএনপি এখনো জঙ্গীবাদী জামায়েতকে ছাড়েনি। জামায়াতকে তারা পৃষ্টপোষকতা করছেন। যারা জঙ্গীবাদের পৃষ্টপোষকতা করে, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায়না।
তিনি শুক্রবার রাতে দলীয় প্রতিনিধি সভায় যোগদান করতে মৌলভীবাজার যাওয়ার পথে আশুগঞ্জের হোটেল উজান ভাটিতে যাত্রাবিরতি শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কয়েক বার দেশের প্রধান মন্ত্রী ছিলেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলন, নির্বাচন, সংসদ সর্ম্পকে তিনি জানেন। কিন্ত তিনি ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগে একটি আত্মঘাতী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, অশুভ চক্রান্ত করেছিলেন। একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে অবৈধ সরকার গঠনের চক্রান্ত করেছিলেন। তিনি জামাত-হেফাজত-জঙ্গীদের নিয়ে দেশে অরাজক পরিবেশ তৈরীর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্ত তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশের নিবন্বিত রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি’র রাজনীতি করার অধিকার, আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। আমি আশা করবো বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলন করবে এবং আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্ততি নিবেন। বিএনপি যদি এখনো ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগের মতো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে, বোমাবাজি করে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে তাহলে ভুল করবে। কারন জঙ্গীবাদ-জামায়েত-হেফাজত মোকাবেলার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জঙ্গীবাদী চক্রান্ত মোকাবেলা তৎপর। সরকার প্রণীত সম্প্রচার নীতিমালা সাংবাদিকদের জন্য দিক নির্দেশনামুলক। বর্তমানে বিকাশমান সম্প্রচারে কোন সার্বজনীন আইন নেই, প্রত্যেকে স্ব স্ব নীতিমালা অনুসারে কাজ করছে। তিনি একে সবার জন্য বিপজ্জনক দাবি করেন। তিনি বলেন সাংবাদিক, সংবাদ, প্রচারসংস্থা, রাষ্ট্র ও দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে-ই এটি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের মতামতের ভিত্তিতে-ই কমিশন গঠন ও সম্প্রচার আইন তৈরী করা হবে।
তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু,সড়ক পথে আশুগঞ্জ পৌছলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে হোটেল উজান-ভাটিতে নিয়ে আসেন।
এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খালেদ, নারী জোটের আহবায়ক আফরোজা হক রীনা, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি রক্ষা পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাসদের উপদেষ্টা সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বীর প্রতীক, উপদেষ্টা শাহ জিকরুল আহমেদ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।