Main Menu

অন্নদা স্কুল বর্ডিং মাঠ গরুর বাজারের দালালের দখলে:মাঠ উন্নয়নের জন্য প্রাপ্ত অর্থ ব্যায় করা হচ্ছে না

+100%-

নিজস্ব সংবাদদাতা :ঈদের আরো প্রায় ১ মাস বাকী থাকলেও ইতিমধ্যে মাঠের জায়গা দখলের প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে গেছে। দু’মাস পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এর আয়োজনে এ মাঠে বানিজ্য মেলা হয়ে গেলেও এখনো এর মাঝখানে পাকা করা বড় গর্তটি ভরাট করা হয়নি। অপসারণ করা হয়নি গর্তের পাকা করা ইট-সিমেন্ট আস্তর গুলো। এতে করে স্কুলের ছাত্রসহ এলাকার হাজার হাজার ছেলে মেয়েরা এ মাঠে খেলা ধূলায় বঞ্চিত হচ্ছে। এ মাঠে কয়েক দফা বানিজ্য মেলা হলেও প্রতি মেলা শেষেই ক্ষতিপূরণের জন্য বিপুল পরিমান অর্থ বার বার স্কুল কর্তৃপক্ষকে দেয়া হলেও এ মাঠে এ পর্যন্ত তা ব্যায় করা হয়নি। সর্বশেষ ২০১৪ সালের অনুষ্ঠিত বানিজ্য মেলার পরও মাঠের উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমান অর্থ স্কুল কর্তৃপক্ষকে দেয়া হলেও দু’মাসেও এখানে কোন প্রকার অর্থ ব্যায় করা হয়নি।  মনে হয় যেন এগুলো দেখার কেউ নেই। এদিকে ৪/৫ দিন আগে থেকেই এ বর্ডিং মাঠে একহাত আধাহাত লম্বা খুটি গেথে মাঠের জায় দখল করে নিচ্ছে সুবিধা ভোগীরা। তারা গরু বাজার শুরু হওয়ার আগেই এ খুটি গুলো কৌশলে বিক্রি করবে। কিন্তু এ গরু বাজারটি জেলা প্রশাসন বা পৌরসভার নিয়ন্ত্রনে না থাকলেও মাইকে প্রচার করা হবে এ বাজারে কোন চাঁদা বা রওয়ানা দিতে হয় না। এ বাজারে শতাধিক বিভিন্ন প্রকার দোকান থাকবে। তাদের কাছ থেকে আজকের দখলদাররা কৌশলে অর্থ আদায় করে থাকে। এসব প্রক্রিয়ায় মনে হয় সব কিছুই নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের উত্তরাংশের একমাত্র খেলাধূলা উপযোগী অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্ডিং মাঠটি রক্ষনাবেক্ষনে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বারবার ব্যার্থ হয়ে চলেছেন। এ মাঠের পশ্চিম পার্শ্বে একটি সুইমিং পুল রয়েছে। যেটিতে এখন গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ী ধৌত করার কাজে ব্যাবহার করা হয়। কয়েক বছর পূর্বে সুইমিং পুল নামের পুকুরটি মৎস্য চাষের জন্য বিপুল অর্থের বিনিময়ে ইজারা দেয়া হতো। যে অর্থ স্কুলের বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যাবহৃত হতো। বর্তমানে কর্তপক্ষ গোপনে বা কাদের দিয়ে এখানে মৎস্য চাষ করাচ্ছে, তা অজ্ঞাত। অথচ এটি প্রকাশ্যে নিয়ম অনুযায়ী ইজারা দিলে এর অর্থ দিয়েই মাঠ ও সুইমিং পুলের উন্নয়ন সম্ভব হতো। এ ব্যাপারে অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা নাজনীনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মাঠের উন্নয়নের জন্য অর্থ প্রাপ্তির কথা স্বিকার করে বলেন, অতিতে এ অর্থ স্কুলের অন্য কাজে ব্যাবহার করা হয়েছে। আসছে ঈদুল আয্হায় গরু বাজারে মাঠটি নষ্ট হবে বলে এখুনি প্রাপ্ত অর্থ ব্যায় করিনি। ঈদের পরে মাঠে উন্নয়ন কাজ করা হবে। তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আল্ আরাফা ব্যাংকের নিকট লিখছি মাঠ ও সুইমিং পুলে উন্নয়নের জন্য। যার অনুলিপি পৌর মেয়রকেও দিব। তাছাড়া সবাই মাঠ ব্যাবহার করে কিন্তু মাঠে কাজ কেউ করে না। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন বলেন, কারা এখুনি মাঠ দখলে নিচ্ছে তা আমার জানা নেই। তবে এর সত্যতা পেলে আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহয়তা নিয়ে দ্রুত ব্যাবস্থা নিব।






Shares