Main Menu

সরাইলে প্রশাসনের বাঁধা উপেক্ষা করে গভীর রাতে ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রীর বিয়ে

+100%-

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে প্রশাসনের বাঁধা উপেক্ষা করে গভীর রাতে ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী সুরাইয়া বেগমের (১২) বিয়ে হয়েছে। গত শনিবার রাত ৩টায় অন্য গ্রামে নিয়ে অতি গোপনে বিয়ে দেওয়ার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন সুরাইয়ার বড় ভাই লুৎফুর রহমান লিটন। স্থানীয় লোকজন ও কনের পারিবারিক সূত্র জানায়, চুন্টার ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্ধা আলী আকবরের মেয়ে ও চুন্টা এ সি একাডেমির (উচ্চ বিদ্যালয়) ৬ষ্ট শ্রেণীর এ শাখার ছাত্রী  সুরাইয়া বেগম। তার শ্রেণী রোল নাম্বার ৪৯। সে ২০১৩ সালে চুন্টা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নথিপত্রে সুরাইয়ার জন্ম তারিখ ২০০২ সালের ১২ জুন লিপিবদ্ধ আছে। গত শনিবারে সুরাইয়ার সাথে অরুয়াইলের সালাহ উদ্দিনের প্রবাসী ছেলে শাহিন মিয়ার (২৬) বিয়ের দিনক্ষণ ছিল ঠিকঠাক। সময় ঠিক করা হয়েছিল দুপুরে। কিন্তু বাঁধ সাদে সুরাইয়ার বয়স। বিষয়টি জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এ বাল্য বিয়ে থেকে বিরত থাকার জন্য সুরাইয়ার পরিবারকে নির্দেশ দেন। ইউএনও’র নির্দেশ পেয়ে চতুরতার আশ্রয় নেন কনের পরিবার। তারা রাতের বেলা চলে যান পার্শ্ববর্তী পাকশিমুল ইউনিয়নের ভূইশ্বর গ্রামে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে। রাত ৩টায় ওই বাড়িতে অতিগোপনে সুরাইয়া ও শাহিনের বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন তারা। ৩ লাখ টাকা দেন মোহর নির্ধারন করে বিয়ে পড়ান কাজীর এক সহকারি মাওলানা মোঃ মনির। মাওলানা মনির সরকারি ভাবে নিযুক্ত পাকশিমূল ইউনিয়নের কাজী কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুর রহমানের ছেলে। এ বিয়েতে স্বাক্ষী হয়েছেন ভূঁইশ্বর পাতার হাটির হাজী আমীর আলীর ছেলে ছালাহ উদ্দিন (২৮) ও পানিশ্বরের মোঃ শফিক মিয়া (২৫)। চুন্টা এ সি একাডেমির প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান নান্নু ও উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাসনা হেনা মিলি বলেন, এটা শতভাগ বাল্য বিয়ে। আমাদের এখানে এ ধরনের বিয়ের প্রবনতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে অনেক সময় এফিডেভিটের একটি কাগজ ধরে দেয়। এ বিষয়ে জানতে মাওলানা মনিরের মুঠোফোনে (০১৭২৮-৬১৯৮৭০) একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ ফাতেমা বেগম বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কি-ই বা করণীয় আছে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এ বাল্য বিয়ের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।






Shares