অধর্মকে বিনাশ করে ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করাই পৃথিবীর সকল ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা-জন্মাষ্টমীর র্যালীতে মেয়র
জেলার হিন্দু ধর্মালম্বীদের পরম পূজ্য ভগবান শ্রী কৃষ্ণের শুভ জন্মদিবস উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভবনামৃত সংঘ (ইসকন) ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা আয়োজিত জন্মাষ্টমীর বর্ণাঢ্য র্যালী বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনা ও ভাব গাম্ভীর্য্যর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ৬টায় আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গন হতে র্যালীটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। হিন্দু ধর্মালম্বী পুরোহিত, হিন্দু নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার কৃষ্ণ ভক্তানুসারীগণ উক্ত র্যালীতে আনন্দ উচ্ছাসের সাথে অংশগ্রহণ করে। সকালে র্যালীটির শুভ উদ্ভোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র ও মিউনিসিপ্যল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি জননেতা মোঃ হেলাল উদ্দিন। এসময় তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ভগবান কৃষ্ণের জীবন দর্শন হচ্ছে, দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন। তিনি মানুষকে প্রেম শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষের সাথে মানুষের প্রেম, মানুষের সাথে পশুপ্রাণীর প্রেম, ভক্তের সাথে ভগবানের প্রেম শিক্ষা দিয়েছেন। প্রেমের বলে বলীয়ান হয়ে তিনি অধর্মকে বিনাশ করে ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করতে বিশ্ব মানবতাকে অনুপ্রানীত করেছেন। পৃথিবীর সকল ধর্ম আমাদের এই শিক্ষাই দিয়েছে। মেয়র ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জীবন দর্শনের আলোকে আলোকিত হয়ে একটি সুস্থ্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হিন্দু ধর্মালম্বীদের প্রতি আহবান জানান। মেয়র আরো বলেন, আমাদের এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আবহমান কাল থেকে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে আসছে। অনেক আগের কাল থেকেই এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষ হৃদ্যতা ও বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠান, ব্যবসা-বানিজ্য করে আসছে। তিনি জেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির ঐতিহ্য বজায় রাখতে সকলকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানান। এসময় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী সুভাস চন্দ্র পাল, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি দিলিপ কুমার নাগ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি সোমেশ রজ্ঞন রায়, সাবেক সভাপতি রনদা বিক্রম চৌধূরী, সাধারণ সম্পাদক এড. প্রনব কুমার দাস উত্তম, সাংগঠনিক সম্পাদক সমর জিৎ সাহা, জহর লাল সাহা বিষ্ণ পদ দেব, প্রানতোষ কুমার পাল, তপন কুমার চৌধূরী, রতন লাল দে, এড. কাজল দে প্রমুখ সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রায় তিন হাজার কৃষ্ণভক্ত উক্ত র্যালীতে অংশ গ্রহন করেন।প্রেস বিজ্ঞপ্তি