জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৩৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানে বক্তাগণ

হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী, স্বাধীনতার মহানায়ক, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৩৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের আলোচনা সভা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান গত ১৬ আগষ্ট শনিবার বিকালে সুর স¤্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডঃ সৈয়দ এ.কে.এম.এমদাদুল বারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অমৃত লাল সাহা। সভায় সভাপতিত্ব করেন শাহাদৎ বার্ষিকী উদযাপন পরিষদ এর আহবায়ক, জেলা আওয়ামীলীগ ও ১৪ দলের সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমানুল হক সেন্টুু। সভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান বাবুল। সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনৈতিক দশর্ন নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেন জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি এডঃ আব্দুস সামাদ, সুজন সভাপতি প্রফেসর মোখলেছুর রহমান খান, জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডঃ সারওয়ার আলম, প্রেস ক্লাব সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার হারুন অর রশিদ দুলাল, সমতট বার্তা সম্পাদক মনজুরুল আলম, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক কবি আবদুল মান্নান সরকার, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, পিটিআই সুপারিন্টেডেন্ট জেসমিন খানম, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এড.এএফ মেসবাহ উদ্দিন ইকো, লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন্স শফিকুর রহমান, এড. আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ প্রমুখ। সভায় শোক প্রকাশ করে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন দুলাল, স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.সাইদুজ্জামান আরিফ, শ্রমিক লীগ সভাপতি মোঃ কাওছার আহমেদ, ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাসুম বিল্লাহ। অনুষ্ঠানে তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিবেশনায় বঙ্গবন্ধুর উপর নিবেদিত দলীয় কবিতা আবৃত্তি করা হয়। একক আবৃত্তি করেন হাবিবুর রহমান পারভেজ, মনিরুজ্জামান শিপু। সভায় বক্তাগণ বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাঙ্গালী জাতির জনক। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী। বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশকে শুধু স্বাধীন ই করেননি। তিনি যুদ্ধ বিদ্ধস্থ বাংলাদেশ কে অল্প সময়ে পূনর্গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যা তার দেশ প্রেম ও যোগ্য নেতৃত্বের ফলে সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসের কিংবদন্তী মহানায়ক তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন নেতা আর কখনও জন্ম হবে না। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্য করা বাঙ্গালী জাতির ইাতিহাসে এক কলঙ্ক জনক অধ্যায়। যারা এই কলঙ্ক জনক অধ্যায়ের রচয়িতা এবং যারা এই বর্বরচিত হত্যা কে সমর্থন করে তারা চিরদিনই পৃথিবীর ইতিহাসে ঘৃনীত। বক্তারা বলেন এই দেশকে, এই জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করতে হবে। এই আদর্শ দেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের আত্মত্যাগ সফল হবে। বক্তাগন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলিয়ান হয়ে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গণত্রন্ত্র রক্ষা ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে যে বলিষ্ট ভুমিকা রাখছেন সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সকলকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানান। সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা, ২১ আগষ্ট ও গণতান্ত্রীক আন্দোলন ও দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য নিহত সকল শহীদ এবং জেলার প্রয়াত সকল রাজনৈতিক নেতাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে মোনাজাত করা হয়। সভায় সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্তরের সুধিজন, জেলা আওয়ামীলীগ, শহর আওয়ামীলীগ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছা সেবক লীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনগন অংশ গ্রহন করেন।