নিজে করলেন ভোজন বিলাস, সাংবাদিকদের দিলেন শুকনো রুটি



(ছবি প্রতিকী)
জেলা প্রশাসন, জেলা কৃষি স¤্রসারণ ও বন বিভাগের আয়োজনে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ৭ দিন ব্যাপী ফলদ ও বনজ বৃক্ষ মেলা-২০১৪। মঙ্গলবার বিকেলে এ উপলক্ষে স্থানীয় লোকনাথ দিঘীর পাড় থেকে এক র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেলা চত্তরে এসে শেষ হয়। পরে সাংসদ র.আ.ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন। এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শ্রেণীবিভাগ করে আথিতেয়তা সেরেছেন জেলা কৃষি স¤্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ বছির উদ্দিন। কিন্তু আমন্ত্রণ জানিয়ে সংবাদকর্মীদের কেন নিগ্রহ করলেন এই সরকারি কর্মকর্তা তা বোধগম্য হয়নি উপস্থিত সংবাদকর্মীদের। কয়েকজন সংবাদকর্মী অভিযোগ করে এই প্রতিবেদককে বলেন, অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি বৃন্দ চলে যাওয়ার পর উপপরিচালক মোঃ বছির উদ্দিন উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে পৌর মেয়রের কক্ষে চলে যান। অন্যদিকে সাংবাদিকদের বসিয়ে রাখা হয় মাঠে চেয়ারে। সেখানে তাদের আপ্যায়ন করা হয় একটি শুকনো রুটি, একটি কেক, একটি সিঙ্গারা দিয়ে। তাতেও আপত্তি ছিলনা সংবাদকর্মীদের। কিন্তু সে সময় এক সংবাদকর্মী পানি পান করতে চাইলে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা নেয় জানিয়ে চলে যান ওই বিভাগের এক কর্মকর্তা। এ সময়ে পৌরসভায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে মেয়রের কক্ষে বিভিন্ন ধরনের ফল, মিষ্টি, সুপেয় পানীয় দিয়ে ভোজন বিলাস করছেন মোঃ বছির উদ্দিন ও তার অতিথিবৃন্দ। এসময় উপস্থিত সংবাদকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এই কর্মকর্তার আথিতেয়তার শ্রেণী বিভাজন দেখে। অনেকে ক্ষুদ্ধ হয়ে খাবারের পেকেট ফেরত দিয়ে গিয়েছিলেন বলেও জানা গেছে। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, অনুষ্ঠানস্থলে সাংবাদিকদের জন্য সংরক্ষিত কোন আসন ছিলনা।
এদিকে এ বিয়ষে জানতে জেলা কৃষি স¤্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ বছির উদ্দিন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে তিনি পৌর মেয়রের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন। এই প্রতিবেদক তখন জানতে চাই অনুষ্ঠানের আয়োজক আপনারা পৌর মেয়র কিভাবে আপ্যায়নের বিষয়ে জানবেন ? তখন তিনি ফোনটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন জামি এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংবাদ সংগ্রহে থাকা সংবাদকর্মীদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা সংশ্লিষ্টদের উচিত ছিল। প্রেসক্লাব এ ঘটনায় বিব্রত। প্রেসক্লাব আশা করে, ভবিষ্যতে যে কোন অনুষ্ঠানে সংবাদকর্মীদের আমন্ত্রণ জানালে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ বিবেচনায় রাখবেন।
এ বিষয়ে জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব এর আহবায়ক পিযুষ কান্তি আচার্য বলেন, এই ধরনের ঘটনা দুঃখ জনক ও অপ্রত্যাশিত।